চরফ্যাসন উপজেলার হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নে শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবছর শিমের বাজার দর ভালো, মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লাভবান হচ্ছেন এখানকার কৃষকরা। ক্ষেত পরিচর্যা, শিম তোলা ও বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চরফ্যাসনের কৃষাণ-কিষাণীরা।
হালকা কুয়াশা পড়লেও ফলনের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায় কৃষি বিভাগ থেকে। বর্তমানে এসব শিম উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বাইরের জেলা গুলোতে। এতে একদিকে শিম চাষে আগ্রহ বেড়েছে অন্যদিকে আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পেয়ে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
শিম চাষী কামাল মিয়া বলেন, বিগত ১০-১২ বছর তিনি শিম চাষ করেন। এ বছর ১ লক্ষ টাকা খরচ করে ১ একর জমিতে শিম আবাদ করেছেন। এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ টাকার শিম বিক্রি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছরের শিমের বাজার দাম ভালো ছিলো। এ মৌসুমের শুরুতেই দাম পেয়েছেন ৫০/৬০ টাকা। এখনও ৫ লাখ টাকার শিম বিক্রি হবে বলে আশা করছেন। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে বেশি দামে শিম বিক্রি করতে পেরে খুশি তারা।
চরফ্যাশর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চরফ্যাসন উপজেলায় শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। চরফ্যাসন উপজেলায় এবছর শিমের আবাদ হয়েছে সাড়ে ৩শত হেক্টর জমিতে। শিম চাষাবাদে কম খরচ ও পরিশ্রমে বেশি লাভবান হওয়া যায়। ফলে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
Recent Comments