পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও এক সময়ের অবহেলিত গাছ বা মেটে আলু এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার আসলামপুরের বিভিন্ন এলাকায়। মেটে আলু বর্ষার মৌসুমের অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে ও বিনা পরিশ্রমে অধিক লাভজনক হওয়া যায় বলে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আসলামপুর ২ নং ওয়াডের্র কৃষক মো: মোফাজ্জেল জানান, ২০ বছর ধরে মেটে আলুর চাষ করে আসছেন। এবছর দেড় কানি জমিতে ৩ মাস আগে মেটে আলু জমিতে লাগিয়েছেন। ফলন আসতে এখনো ৩মাস সময় লাগবে। এই মেটে আলুর ফলন ৬মাসে আসে বলে আমাদেরকে জানান। এছাড়াও মেটে আলুর পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়াও চাষ করেছেন তিনি। দুই ফসলে এ বছর ২ লাখ টাকা খরচ বাদ দিয়ে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাভ হওয়ার আশা করছেন কৃষক মোফাজ্জল।
মৌসুমের সকল সবজি চাষের তুলনায় মেটে আলু চাষে খরচ কম এবং আলাদা জমি, সার ও বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয় না। বাজার জাত করা হয় বেশ ভালো দামে। তাই উপজেলায় এ আলু আবাদের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে।
কৃষি বিষয়ক রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান, “ কৃষি ও কৃষক”। অনুষ্ঠানটি শুনতে পান প্রতি বুধবার বিকাল ৫ টায়। শুধু মাত্র রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএম।