চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের লাইজু বেগম (২৫) সেলাই কাজ করে বাড়তি আয়ের পাশাপাশি হয়ে উঠেছেন আশপাশের নারীদের অনুপ্রেরণা। আট বছর আগে কৈশোরে নিজের আগ্রহে শিখেছিলেন সেলাই কাজ। বর্তমানে সেলাই কাজ করে মাসে প্রায় তিন হাজার টাকা আয় করে থাকেন।
ঢাকা থেকে গজ কাপড় ও থ্রি-পিস এনে বিক্রির পাশাপাশি সেলাই করেন ছোট থেকে বড় শিশুদের পোশাক। এছাড়াও তৈরি করেন থ্রি-পিস, ব্লাউজ, পেটিকোটসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক। বিয়ের পর তার স্বামী তাকে একটি সেলাই মেশিন কিনে দেন, যেটি তার আত্মনির্ভরতার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
লাইজু বেগম শুধু নিজে সেলাই করছেন না, বরং এই কাজ শেখাচ্ছেন আশপাশের প্রতিবেশিদেরও। এতে তারা নিজেরাও আয় করতে পারছেন। লাইজুর শাশুড়ি বিবি হালিমা বলেন, আমার ছেলের বউ সেলাই কাজ করে ছেলের পাশাপাশি আয় করছে। এটা আমার ভালো লাগে। তাই আমি তাকে সব সময় সাহায্য করি। প্রতিবেশি মনোয়ারা বলেন, লাইজু বেগমের কারণে আমরাও উপকৃত। আগে জামাকাপড় সেলাই করতে বাজারে যেতে হতো, এখন বাড়ির পাশেই তার কাছে কাপড় নিয়ে তাকে দিয়েই সেলাই করি।
লাইজু বেগমের কাছ থেকে সেলাই কাজ শিখে রিক্তা নামের এক নারীও এখন পোশাক তৈরি করে আয় করছেন। এভাবেই লাইজুর হাত ধরে নারীরা খুঁজে পাচ্ছেন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পথ। এই ছোট উদ্যোগ থেকেই তৈরি হচ্ছে বড় অনুপ্রেরণা, যার মাধ্যমে বদল ঘটছে তার জীবনের। ভবিষ্যতে এই কাজকে আরও এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন লাইজু বেগমের দু’চোখে।
Recent Comments