স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম আর ধৈর্য। আজ আমরা কথা বলেছি এমনই একজন নারীর সাথে, যিনি সেলাইয়ের কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে তার নিজের পরিচয় গড়েছেন।
ইয়াছমিন বেগম, একজন স্বাভাবিক গৃহিণী বাসা চরফ্যাসন পৌরসভা । সংসারের কাজ আর ঘর সামলানোই তার দৈনন্দিন রুটিন ছিল। কিন্তু তার মনের ভেতরে ছিল একটি স্বপ্ন নিজের পরিচয়ে কিছু করা। বাবা মারা যাওয়ার পর বড় বোনের সাথে হাতে তুলে নেন সেলাইয়ের কাজ। পরিবারের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও নিজের ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রম দিয়ে তিনি আজ হয়েছেন সফল এক নারী।
ইয়াছমিন বেগম বলেন, ছোটবেলা থেকেই সেলাইয়ের কাজ শিখতে ভালোবাসতাম। কিন্তু কখনো ভাবিনি এটা দিয়েই নিজের পায়ে দাঁড়াবো। সংসারের প্রয়োজনে শুরু করেছিলাম, কিন্তু ধীরে ধীরে এটা আমার পেশা হয়ে উঠলো।
২০২০ সাল থেকে শুরু করেন সেলাইয়ের কাজ। প্রথমদিকে ইয়াছমিন বেগমমের কাজ ছিল আশপাশের কয়েকজনের জন্য ছোটখাটো পোশাক তৈরি করা। কিন্তু তার দক্ষতার কারণে খুব তাড়াতাড়ি কাজের চাহিদা বাড়তে থাকে। তিনি জানান প্রথম যখন শুরু করেছি তখন খুব ভয় পেয়েছিলাম। ভাবছিলাম পারবো কি না। কিন্তু স্বামীর সাহস পেয়েছি। বাড়িতে অনেক বেশি পরিমানে কাপর এনে বিক্রি এবং সেলাই শুরু করি। বুঝলাম আমি ও পারবো। বর্তমানে সাত হাজার টাকা তার মাসিক ইনকাম। নিজের আয় থেকে ছোট ভাই বোনদের পড়াশোনার খরচও বহন করেন তিনি।
তিনি বলেন, সবারই নিজের স্বপ্ন পূরণের অধিকার আছে। নিজেকে ছোট ভাববেন না। যে কাজই হোক, ভালোবাসা আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে সফল হওয়া যায়।
এ ছিলো ইয়াছমিন বেগমের গল্প, এক সংগ্রামী নারীর নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কাহিনী। আশা করি ইয়াছমিন বেগমের আরও অনেক নারী তাদের জীবনে সফলতার সেলাই তৈরি করবে।
রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান “সফলতার গল্প” আয়োজনটি শুনতে পান সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার ০৮টা ২৫ মিনিটে। শুধুমাত্র কমিউনিটি রেডিও “রেডিও মেঘনা ৯৯.০এফএম”।