আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ভোলার চরফ্যাসনে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ইতোমধ্যেই এসব হাটগুলোতে বিভিন্ন জাতের গরু-ছাগলের ব্যাপক সমাগম ঘটেছে। এখানকার কোরবানীর পশুর ২৭টি হাটে নিয়মিত পর্যাবেক্ষনে রয়েছে ৬টি মেডিক্যাল টিম।
উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চরফ্যাসন গরুর হাট। সপ্তাহে সাধারণত দুইদিন শনিবার ও মঙ্গলবার এখানে হাট বসে। কিন্তু কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই এখানে বিভিন্ন জাতের গরু-ছাগলের ব্যাপক সমাগমে ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছেন। এবার এই হাটে গরু-ছাগলের পাশাপাশি অনেক ভেড়াও যোগ হয়েছে। হাটে বেচাকেনা জমে উঠেছে পুরোদমে।
অন্যদিকে ক্রেতাদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সমন্নয় করতে এক হাট থেকে অন্য হাটে ঘুরে পছন্দের পশু কিনছেন।
বিক্রেতারা জানান, এ বছর খাদ্যের দাম একটু বেশি হওয়ায় গরুর পেছনে আমাদের খরচও বেশি হয়েছে। তবুও ক্রেতাদের সঙ্গে দামে মিললে গরুগুলো বিক্রি করবেন। কোরবানির এখনো অনেক সময় বাকি থাকায় ক্রেতারা দরকষাকষি করছেন। সামনের হাটে বিক্রির পরিমাণ বাড়বে বলে জানান তারা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের মেডিক্যাল টিম এ দায়িত্বে থাকা মোঃ ইব্রাহিম বলেন, এবছর চরফ্যাসনে স্থায়ী ও অস্থায়ী ভাবে উপজেলার ২৭ টি পশুর হাটে কোরবানীর পশু বিক্রি শুরু করেছেন চাষীরা। প্রতি বছর পশু কোরবানীর পশুর হাটে সুস্থ্য-অসুস্থ্য পশু চিহ্নিত করণে নিয়মিত পর্যাবেক্ষনে রয়েছে মেডিক্যাল টিম দায়িত্ব পালন করা হয় বলে জানান তিনি।
সুরভী ও মৌসুমী মনিষা।
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।