ভোলার চরফ্যাশনের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে অর্থাৎ নদীর তীরবর্তী এলাকায় বাল্যবিবাহের প্রবণতা একটু বেশি। এসব এলাকায় ১৩-১৪ বছরের মেয়ে এবং ১৬-১৭ বছরের ছেলেদের বিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। এতে মেয়েদের বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও ছেলেদের শিশুশ্রমের হার।
বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৫ জুলাই হাজারীগঞ্জ ৭ নং ওয়ার্ডের বারেক কোম্পানি বাড়ির উঠানে রেডিও মেঘনার আয়োজনে সিসিআরপি প্রকল্পের সহযোগিতায় সচেতনতা মূলক বৈঠক করা হয়েছে। এসময় রেডিও মেঘনা সহকারী নিউজ প্রডিউসার অধরা ইসলামের সার্বিক সহযোগীতায় আলোচনা করেন, রেডিও মেঘনার নিউজ প্রডিউসার করেছেন আছমা আক্তার সুরভী।
উক্ত বৈঠকে উম্মুক্ত আলোচনায় উঠে এসেছে, মা-বাবার ধারণা, মেয়েদের বয়স বেশি হলে মেয়েদের বিয়ে না হওয়া। এছাড়া বাল্যবিয়ের কুফল ও শাস্তির কথা তাদের জানা থাকলেও ছেলে মেয়েদের নিজের পছন্দমত পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনায় পরিবার সম্মানহানী ঘটার ভয়ে অল্প বয়সেই ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়।
উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশে বলা হয়েছে, ‘আপনারা সন্তানদের অল্প বয়সে বিয়ে দেবেন না। নিজেদের ছেলেমেয়েদের অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন না। সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। দেখবেন একদিন আপনার সন্তানরাই সমাজ ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। পাশাপাশি প্রতিবেশি কেউ তাদের সন্তানদের বাল্যবিবাহ দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রশাসনকে জানানোর জন্য আহবান করা হয়। সবশেষে, বাল্যবিবাহের কুফল তুলে ধরে এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অভিভাবকদের সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।