মাদ্রাজ ৮নং ওয়ার্ডে কিশোরী এবং অভিবাবকদের উপস্থিতিতে “বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিক এবং বাল্য বিয়ে বন্ধে স্থানীয় পর্যায়ে করণীয় নিয়ে” উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠকে সবার সাথে উন্মুক্ত আলোচনায় বাল্যবিয়ের কারণ হিসেবে উঠে আসে যারা বাল্য বিবাহে ইচ্ছুক তারা যে কোন উপায়ে জন্ম নিবন্ধনে মেয়ের বয়স বৃদ্বি করে নেওয়া। অনেক সময় অর্থনৈতিক অবস্থার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বাল্যবিবাহে উৎসাহিত করে ছেলেদের পরিবার। তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়ার প্রবনতা থেকেও বাল্য বিবাহের দিকে ঝুকে পড়ে গ্রাম্য পরিবারগুলো।
সন্তানদের বাল্য বিবাহ দিলেও অনেকে অভিভাবক জানেনা এর খারাপ দিক কত ভয়াবহ হতে পারে। রেডিও মেঘনার শ্রোতা ফিডব্যাক অফিসার লাবনী হোসেন বাল্য বিয়ের খারাপ দিক তুলে ধরেন। বলেন, নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া ছাড়াও বাল্য বিবাহের কারনে মাতৃ মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক মা প্রতিবন্ধী শিশু জন্মদান করতে পারে। প্রতি ঘন্টায় মারা যাচ্ছে একজন নবজাতক৷ নবজাতক বেঁচে থাকলেও অনেক সময় তাকে নানা শারীরিক ও মানষিক জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়৷
উপস্থিত সকলকে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে হেল্পলাইন নম্বর ১০৯৮ নম্বর সম্পর্কে সবাইকে জানানো হয়। পরিচয় গোপন রেখে কল করার পরামর্শ এবং শাস্তি তুলে ধরা হয়। উক্ত বৈঠকে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় বিগত দিনগুলোর মতো তারা আগামীদিন গুলোতে তারা মেয়েদের ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার বিয়ে দিবেন না। এবং মেয়েদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করবেন । উঠান বৈঠকে ১৩ জন কিশোরী এবং ১৭ জন গৃহিণী উপস্থিত ছিলেন।