হাজারি গঞ্জ ইউনিয়নের শুক্কুর মিয়া। বন্যার পানিতে চোখের সামনে দুই ভাই ও দুই বোনকে ভেসে যেতে দেখেছেন। কেউ তাদের লাশ ও খোঁজে পায়নি। প্রায় ৫৫ বছর হয়ে গেছে এখনো আসায় আছেন হয়তো ভাই এবং বোনেরা ফিরে আসবে। বন্যার সময় শুক্কুর মিয়া ও তার বাবা, মা গাছের ডাল আকড়ে ধরে ছিলেন। বলছিলেন ৭০ সালের বন্যার কথা।
শুক্কুর মিয়া বলেন, আগেরকার দিনে মানুষ রেডিও শুনে বন্যার খবর তেমন পেতো না। আকষ্মিক বন্যার খবর কোন মানুষ জানতে পারেনি তার জন্য কেউ হারিয়েছে বাবা, মা, কেউ হারিয়েছে স্বজন, আবার কেউ বা হারিয়েছে সন্তান। শুক্কর মিয়া আরো বলেন, বর্তমানে একটুখানি বাতাস হলেও মাইকিং করে। তা শুনে আমরা সর্তক হইয়া যাই। অনেক আগে একবার বউ, মাইয়া, নাতি, নাতনি নিয়া আশ্রয় কেন্দ্রে গেছি। তারপর ঝড় থামার পর চলে আসছি। এখন আমরা ঝড়ের খবর শুনতে পাই টিভিতে, রেডিওতে । ঝড় সর্ম্পকে শুনে আমরা প্রস্তুতি নেই।