বাংলাদেশে প্রতি বছর অসংখ্য শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে। বিশেষ করে বর্ষাকাল ও গ্রামীণ জনপদে এই দুর্ঘটনা বাড়ে। পুকুর, খাল, ডোবা কিংবা বাড়ির পাশের ছোট জলাশয়ও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে পানিতে ডুবে মৃত্যু অন্যতম প্রধান কারণ। অথচ সামান্য সচেতনতা ও সতর্কতাই এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করতে পারে।
অভিভাবকদের সচেতন করতে হামিদপুর ৪নং ওয়ার্ডে কিশোরী শ্রোতা ক্লাবের লিডার সহ কয়েকজন নারী কিশোরীর মাঝে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুরোধে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন শ্রোতা ফিডব্যাক অফিসার লাবনী হোসেন। আলোচনায় তিনি বলেন-
শিশুকে কখনোই পানির ধারে একা খেলতে দেওয়া উচিত নয়। ছোট শিশুদের সবসময় অভিভাবক বা পরিবারের বড়দের তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে।
বাড়ির আশেপাশের পুকুর, খাল, ডোবা বা কূপের চারপাশে বেড়া দেওয়া জরুরি। পানির ট্যাংক বা ড্রামের মুখও ঢেকে রাখতে হবে।
শিশুর বয়স উপযোগী হলে তাকে সাঁতার শেখানো উচিত। এতে দুর্ঘটনা ঘটলেও বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ শিশুর জীবন বাঁচাতে পারে।