পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও এক সময়ের অবহেলিত গাছ বা মেটে আলু এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। অঞ্চলভিত্তিক গাছ বা মেটে আলু পরিচিত মাচা আলু, গজ আলু, মোম আলু, মাইট্টা আলু, পান আলু, ইত্যাদি নামে। মেটে আলু বর্ষার মৌসুমের অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে ও বিনা পরিশ্রমে অধিক লাভজনক হওয়া যায় বলে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের আবুগঞ্জ বাজার সংলগ্নর অধিকাংশ এলাকার মাটি আলু চাষে উপযোগী হওয়ায় খামার পদ্ধতিতে বিনা খরচে মেটে আলু আবাদ করা হয়। তাই স্থানীয় কৃষক বাণিজ্যিকভাবে এ আলু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। অধিক লাভের আশায় মেটে আলু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
কৃষক বাবুল মিয়া জানান, এ বছর ১ কানি জমিতে মেটে আলু রোপণ করেছে, মাটির আলুগুলো ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা যায়। প্রতিটি আলু ৫ থেকে ২০ কেজি ওজনের হয়। মাটির নিচের আলু প্রতি ১০ শতাংশ জমিতে ২৫ থেকে ৩০ মন ফলন হয় যা বাজারে ১৪শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা মণদরে বিক্রি করা যায়।
কৃষক মস্তফা, আব্দুল্লাহ, জামাল জানান, মৌসুমের সকল সবজি চাষের তুলনায় মেটে আলু চাষে খরচ কম এবং আলাদা জমি,সার ও বাড়তি যতেœর প্রয়োজন হয় না। বাজার জাত করা হয় বেশ ভালো দামে তাই উপজেলায় এ আলু আবাদের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে।
এ বিষয়ে চরফ্যাসন উপজেলা কৃষি অফিসার ওমর ফারুক জানান, চরফ্যাসনের অধিকাংশ এলাকার মাটি দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ হওয়ায় প্রায় বিনা খরচে ও অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভজনক এ আলু চাষ করে যে কেউ স্বাবলম্বী হতে পারেন।
সুরভী ও মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।