শীত মৌসুমে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার মানুষের কাছে বেড়েছে পাতি হাঁসের চাহিদা। শীতের শুরু থেকে জমজমাট হাঁস কেনা-বেচা। গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি এলাকার হাঁসের বাজার এখন চাঙা। বর্তমানে যেকোনো আনন্দ-উৎসবে অতিথিদের আপ্যায়নের প্রথম তালিকায় থাকে হাঁসের মাংস।
জানা যায়, শীতের মৌসুমে চরফ্যাসনের মানুষজনের কাছে খাদ্য তালিকায় বিশেষ গুরুত্ব পায় হাঁসের মাংস। হাঁসের মাংস না থাকলে যেন জমে উঠে না কোনো আয়োজন। ভোলা জেলায় যুগযুগ ধরে চলে আসছে এই রীতি। শীতে হাঁস খাওয়া যেন এই এলাকার মানুষের কাছে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। শীতকে ঘিরে অনেকে আবার মৌসুমি হাঁস ব্যবসা শুরু করেন। প্রত্যেক বাংলা কার্তিক মাস থেকে ফালগুন মাস পর্যন্ত চলে এই হাঁস বিক্রি।
চরফ্যাসনের বিক্রেতারা জানান, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০টি হাঁস বিক্রি হয়। মাঝে মধ্যে একশতটিও বিক্রি হয়। তবে স্থানীয় হাঁসের চাহিদা ও দাম বেশি। প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হয় সাতশত থেকে আটশ টাকা। হাঁস ওজন ও সাইজ অনুযায়ী আটশ থেকে এক হাজার টাকায়ও বিক্রি হয়। শীতের মৌসুমে হাঁস বিক্রি করে যা আয় হয়, তা দিয়েই কোনো রকমে সারা বছর চলে যায়।
এদিকে ক্রেতারা জানান, শীতে হাঁসের মাংসের অন্য রকম স্বাদ পাওয়া যায়। পরিবারের সদস্যদের আবদার ছিল হাঁসের মাংস খাবে। যার জন্য হাতের নাগালের বাহিরে দাম হলেও হাঁস কিনেছেন। প্রতি বছরের চেয়েও এ বছর হাঁসের দাম একটু বেশি বলে জানান হাঁস ক্রেতারা।