অনিয়মিত ঋতুস্রাব নারী জীবনের এক অ-স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে ঘটতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি। এমন স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে বসবাসত উপকূলীয় অসংখ্য নারীদের। আজ কথা হয় হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের খেজুরগাছিয়া এলাকা মৌসুমী বেগমের (৩০) সাথে। তার প্রায়ই অনিয়মিত মাসিক হয়। চার থেকে ছয় মাস পর পর মাসিক শুরু হয়ে থাকে ১০-১২ দিন। যা অশুভ দৃষ্টির ফলে হয় বলে মনে করেন তিনি। আর এমন হলে ঝাড়-ফুক করানো ও পরা পানি খাওয়া এক কথায় কুসংস্কারের আশ্রয় নেন। নেওয়া হয় না ডাক্তারের কোনো পরামর্শ।
মৌসুমী বেগম নিজে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যায় ভোগলেও চিন্তিত মেয়েকে নিয়ে। তিনি চান না তার মেয়েও এমন সমস্যার মুখোমুখী হোক।
এবিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমসিএইচ ইউনিটের এফডব্লিউভি শিশি বেগম বলেন, কৈশোরের শুরুতে অনেক কিশোরী অনিয়মিত মাসিকসংক্রান্ত সমস্যায় ভোগে। কৈশোরে অনিয়মিত মাসিক হওয়া অস্বাভাবিক নয় বরং এটা স্বাভাবিক। তবে লক্ষ রাখতে হবে, অনিয়মিত মাসিকের সময় কিশোরীর অতিরিক্ত রক্তস্রাব হয়, রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, যা পরবর্তীকালে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই গাইনী ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এমনটাই বলেন এফডব্লিউভি শিশি বেগম।
তিনি আরো বলেন, একজন কিশোরীর প্রথম যখন পিরিয়ড শুরু হয় এই এক্সিস আনম্যাচিউর থাকে তাই অনিয়মিত পিরিয়ড হয়ে থাকে। এ বিষয়টি নিয়ে কিশোরী বা অভিভাবকের দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান আমরা কিশোর কিশোরী। অনুষ্ঠানটি শুনুন প্রতি সোমবার সকাল ০৯:২৫ মিনিটে রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফ এম এ।
অনিয়মিত মাসিকের সমস্যায় ভোগেন উপকূলীয় অসংখ্য নারী

Recent Comments