বৈশাখ থেকে আশ্বিন মাস এই সময়কে ইলিশের ভরা মৌসুম বলা হলেও চলতি বছর নদী ও সাগরে বিচরণ করে কাঙ্খিত ইলিশের দেখা পাচ্ছেন না হামিদপুর ৪ নং ওর্য়াডের মৎসজীবীরা। এই এলাকার মৎস্যজীবীরা বলেন, প্রতিবছরের এই সময়টাতে আমরা খুবই ব্যস্ত থাকতাম। সকালে নদী থেকে আসলে বিকালের মধ্যেই আবার চলে যেতাম। কিন্তু এবছর আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস পার হয়ে গেলেও নদীতে মিলছে না ইলিশ।
মৎস্যজীবী কবির সকিদার (৫২) ও বাঁধন মাঝির (৩২) সাথে কথা বলে যানা যায়, ছোট বলো থেতেই মৎস্য আহরণের কাজে যুক্ত রয়েছেন। নদীর এ কাজের সাথে যুক্ত হওয়ার শুরুতে পঁচিশ থেকে ত্রিশ লক্ষ টাকা খরচ করে বোড/বড় নৌকা তৈরি করি। এখন নিজের বোডে/বড় নৌকায় এগারো থেকে বারো জন মাঝি নিয়ে মাছ শিকার করি। বর্তমানে ইলশিরে ভরা মৌসুমে ভরপুর মাছ থাকার কথা থাকলেও জালে মিলছে না ইলশি। তবে যে মাছ ধরা পরে তা মোটামুটি ভালো দামেই বিক্রি হয়। এছাড়াও পরেরবার নদীতে গেলে ভালো মাছ পাবেন এমন আশায় র্বষাকে উপেক্ষা করেই জাল মেরামতের কাজ করছেন তারা।
উপজলো সিনিয়র মৎস্য র্কমর্কতা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে জেলেরা পর্যাপ্ত পরিমানে মাছ পাচ্ছে না। তবে এখন পর্যপ্ত বৃষ্টি হওয়াতে আবহাওয়া অনুকূলে আছে। তাই সামনের দিকে জেলের জালে রূপালি ইলিশ ধরা পরবে বলে আশা রাখেন।
মৎস্যজীবীদরে জীবন-যাপন বিষয়ক রেডিও মেঘনার অনুষ্ঠান “জেলে জীবন ও প্রাকৃতকি র্দূযােগ” শুনুন ৯৯.০ এফএম এ বৃহস্পতবিার বকিাল ০৫:০০ টায়।