ভোলা জেলায় এবার সূর্যমুখীর চাষ এবং উৎপাদনে অন্যতম। চলতি মৌসুমে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে ভোলার ৭ উপজেলায়। ভোজ্যতেল উৎপাদনে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বিভিন্ন এলাকায় সূর্যমুখী চাষ করেছেন অধিকাংশ কৃষক। পতিত জমিতে স্বল্প ব্যয়ে অধিক ফলনে লাভবান হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছে চাষীরা।

চরফ্যাসনসহ লালমোহন উপজেলার মাঠে মাঠে বাতাসে দোল খায় হৃদয় জুড়ানো হলুদ রঙের দৃষ্টিনন্দন সূর্যমুখীরা। ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা মৌমাছি। সূর্যমুখীর হাসি দেখে হাসছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় এবার সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে শেষ সময়ে পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক।
কৃষি বিভাগ এর তথ্য মতে, কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এসব ফসলের মধ্যে ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, বোরো ধান, বোরো হাইব্রিড, মুগডাল ও খেসারি ডাল রয়েছে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষাবাদের উপযোগী হওয়ায় গত বছরের চেয়ে দ্বীগুণ জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে, ফলনও হয়েছে ভালো।

পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রব বলেন, লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগীতায় এবছরই প্রথম তিনিসহ আরো ১০ জন কৃষক সাড়ে ৫ কানি জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। প্রতি গন্ডা জমিতে ২০০০ টাকা করে খরচ হয়েছে। তবে সার ও বীজ সরকারিভাবে পেয়ে খুশি তিনি।

সুরভী ও মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।