১৯৭৮ সালে স্থানীয় কিশোর-কিশোরীদের মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে পথচলা শুরু করে দক্ষিন শিবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। কথা হয় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কাকলী রানী দাসের সাথে। তিনি আমাদের জানান, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সবাই কিশোরী। আর কিশোরী বয়স থেকেই অনেকে আয়রণ ও ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত সমস্যায় ভোগে। তাই আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের কিশোরী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের একজন সুস্থ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিদ্যালয় থেকে আয়রণ, ক্যালসিয়াম, কৃমি ও স্যানিটারি প্যাড দিয়ে থাকেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক। নিয়মিত প্রতি সপ্তাহের শেষের দিন এই আয়রণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় এই ওষুধ সেবনের নিয়ম সম্পর্কেও।
কিভাবে বিদ্যালয়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে কাকলী রানী জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের পাশেই অবস্থান কমিউনিটি ক্লিনিকের। কিছু কিছু কিশোরী শিক্ষার্থীরা ক্লিনিক থেকে এই সেবা নিলেও অন্যান্যরা কখনোই যায়নি। এটা আমরা নিশ্চিত করেছি শারীরিক শিক্ষা পাঠের মাধ্যমে। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোগে প্রতি মাসে বিদ্যালয়ের কিশোরী শিক্ষাথীদের এই সেবা দেওয়া হয়। শিক্ষর্থীদের বয়ঃসন্ধিকালীন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কেও জানানো হয়।
অত্র বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে পড়–য়া শিক্ষার্থী শাহানাজ আমাদের জানান, আমরা বিদ্যালয় থেকে নানা স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকি। নিয়ম করে আমি আয়রন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট পেয়েছি। প্রয়োজনে আরও পেয়েছি স্যানিটারি প্যাডও। বিদ্যালয়ে থেকে এমন সেবা পেয়ে আমি ও আমার সহপাঠী আমরা সকলেই খুশি।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেও অংশগ্রহন মূলক রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘বিদ্যাপিঠ’। শুনুন, ৯৯.০ এফএম এ বুধবার সকাল ০৮:২৫ মিনিটে।
Recent Comments