আমাদের দেশের ফসল উৎপাদনের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ধান। এই ধান চাষের জন্য বীজ সংরক্ষণ করা খুবই জরুরি। এই বিষয়ে কথা হয় আসলামপুর ৭নং ওয়ার্ডের কৃষক আবদুল সাত্তারের (৩৫) সাথে। তিনি ২০ বছর যাবৎ কৃষি কাজ করে আসছেন। কিন্তু কখনো বীজ সংরক্ষণ করেনি । তিনি মনে করেন, বাড়িতে বীজ সংরক্ষণ করলে বীজেন গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়। তাই সর্বদা বাজার থেকে বীজ সংগ্রহ করে থাকেন। যার কারণে চাষাবাদে খরচের পরিমান বেড়ে যায়। চলতি বছরেও ১২০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছেন। এতে প্রয় প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এছাড়াও তিনি নিজে নিয়মিত এই চাষাবাদে শ্রম দিচ্ছেন বলে জানান।
কমিউনিটিতে বীজ সংরক্ষণের পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান। তিনি জানান, ভালো বীজেই ভালো ফসল। বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ৫৭ লক্ষ কৃষক পরিবার রয়েছে। তাদের যেই বীজের চাহিদা তার ৮০ শতাংশ বীজই কৃষকরা নিজেরা সংরক্ষণ করেন। বাকি ২০ শতাংশ সরকারি বা অন্যাণ্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্রয় করেন।
বীজ সংরক্ষণের জন্য প্রথমে জমি থেকে ভালো ফসল সংগ্রহ করতে হবে। এই ফসল থেকে বীজ নিয়ে আড়াই-তিন ঘন্টা করে তিন-পাঁচ দিনে শুকাতে হবে। কেননা বীজ ভালোভাবে না শুকালে অথবা বেশি শুকালেও বীজের গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়। বীজ শুকানো হয়ে গেলে আদ্রতা পরিমাপক যন্ত্র দিয়ে বীজের আদ্রতা ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এবার প্লাস্টিকের ব্যাগে বীজ রেখে তা পাত্রে সংরক্ষণ করে পাত্রের মুখ ভালোভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। পোঁকা-মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে সংরক্ষণের সময় নিমের গুড়ো বা মেহগনির বীজ ব্যবহার করা যেতে পারে।
Recent Comments