উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলার চরফ্যাসনে শুরু হয়েছে নতুন পদ্ধতিতে ভাসমান সবজি চাষ। বারোমাস ভাসমান জলাশয়ে সবজি চাষ করে বিকল্প আয় করার স্বপ্ন নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে ভাসমান বেডে সবজি চাষ। এ জেলায় বর্ষার মৌসুমে অধিকাংশ এলাকার ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে থাকে। যে কারণে দানাশষ্যসহ সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাই বর্ষা মৌসুমে জলাশয়ে ভাসমান সবজিই হবে কৃষকের ভরসা এবং এই পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে লাভবান হবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ভাসমান বেডে সবজি চাষ পদ্ধতির মুল উদ্যোক্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান। তিনি বলেন, বিবিসি বাংলার ভিডিও দেখে নিজে আগ্রহী হন খাল বিল ও ডুবে থাকা ডোবাতে কিভাবে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চরফ্যাসনে ডুবে থাকা অধিকাংশ জলাশয়ে সবজি চাষ করা সম্ভব হবে মনে করেই তার উদ্যোগে কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় আমিনাবাদ ইউনিয়নের হালিমাবাদ গ্রামে পরিক্ষামূলকভাবে ৩০ জন কৃষক নিয়ে নতুন পদ্ধতিতে ভাসমান সবজি চাষের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
এছাড়াও তিনি বলেন, কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে প্রধানমন্ত্রির নির্দেশনা অনুযায়ী ১ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। এটি বাস্তবায়ন করতে পরিত্যক্ত খাল বিল ডোবায় এই পদ্ধতিতে কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আগ্রহী করছি। এই পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, উপজেলার পরিত্যাক্ত খালে প্রচুর কচুরিপানা থাকায় এই প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে ভাসমান বেডে সবজি উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। চরফ্যাসনের যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা এবং কচুরিপানা রয়েছে সেখানে ভাসমান সবজি চাষ করে একদিকে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন অন্যদিকে খাল সচল ও প্রধানমন্ত্রির নির্দেশনা ১ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না তা পূরণ করা সম্ভব।

সুরভী ও অধরা ইসলাম
রেডিও মেঘনা,চরফ্যাসন।