উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস সুফিয়া বেগম (৩০) এর। চর যমুনা ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি বলেন, প্রতিটি ঝড় যেনো আমাদেরকে অসহায় করে তোলে।
একটি ঝড়ের ক্ষতি কাটিয়ে উঠনে না উঠতে আর একটি ঝড়ের কবলে পরতে হয় বলে জানান। এজন্য ঝড় আসার আগেই যতটা সম্ভব পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন সুফিয়া বেগম।
পূর্বপ্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সুফিয়া বেগম বলেন, বর্ষার মৌসুমে ঘরে শুকনো খাবার বিস্কুট, মুড়ি, চানাচুর রাখি। ঝড় হবে এমন খবর শুনলে বা আবহাওয়া খারাপ দেখলে রান্নার জন্য শুকনা লাকড়ি, জমির দলিল, ছেলে-মেয়েদের জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পারচয় পত্র এই ধরনের গুরুত্ব কাগজপত্র পলিথিন ব্যাগে মুড়িয়ে সাথে রাখি। পরিস্থিতি খারাপ দেখলে হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাই।
ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুমগুলোতে (মার্চ-এপ্রিল এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাস) উপকূলে বসবাসকারীদের সতর্ক থাকতে হবে। আবহাওয়ার খবর শুনার চেষ্টা করা ও ঘূর্ণিঝড়ের সময় সিপিপি‘র দেওয়া নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন উপজেলা দূর্যোগ প্রস্তুতি কর্মকর্তা।
রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘দূর্যোগ প্রস্তুতি’। শুনুন ৯৯.০ এফএম এ মঙ্গলবার সকাল ০৮:২৫ টায়।