পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে চরফ্যাশনে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট। প্রতিটা হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভীর লক্ষ্য করা যায়।
চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা আছে ২৪ হাজার ৪শত ৬৬টি পশুর। তবে প্রস্তুত আছে ২৫ হাজার ৯১টি পশুর।
সরজমিনে কোরবানির পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, গরু, ছাগল, মহিষের সমাহার। মহিষের তুলনায় গরুর চাহিদা থাকায় ক্রেতাদের উপছে পড়া।
আহম্মদপুর থেকে আসা বিক্রেতা রাসেল জানান, এবার কোরবানি ঈদে ২ টি গরু বিক্রি করবেন। চরফ্যাশনের হাট ছাড়াও আহম্মদপুর, হাজারিগঞ্জ, চৌমুহনী, দুলারহাটেও নিয়ে যান গরু বিক্রি করার জন্য। একটি ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করার আশা প্রকাশ করেন।
গজারিয়া থেকে আসা বিক্রেতা আবুল কালাম জানান, এ বছর মোট ৪ টি গরু বিক্রি করবেন। এক একটি গরুর মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছি। তবে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা হলে বিক্রি করবো। এদিকে ক্রেতা ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন বলে জানান বিক্রেতা আবুল কালাম।
চরফ্যাশনের স্থানীয় বাসিন্দা ক্রেতা মোঃ খালেক জানান, এবার কোরবানির জন্য ৫ জনে মিলে ৮১ হাজার দিয়ে গরু কিনেছেন। গত বছরের তুলনায় এবছর একটু দাম মোটামুটি কম আছে।
চরফ্যাশন ৫নং ওর্য়াডের বাসিন্দা ক্রেতা মাওলানা মোসলেউদ্দিন জানান, এবছর কোরবানির জন্য মহিষ কিনেছেন। দীর্ঘ ৩ থেকে ৪ বছর পর্যন্ত তিনি মহিষ দিয়ে কোরবানি দেয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর মহিষের দাম একটু বেশি।
এদিকে গরু বিক্রি করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন বিক্রেতা হারুন মাতাব্বর। তিনি জানান, গরুর সঠিক মূল্য না পাওয়াতে ফিরে যাচ্ছেন অন্য হাটে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে।
চরফ্যাশন উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রাজন আলী বলেন, চরফ্যাশন উপজেলায় এ বছর কোরবানি হাটের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ২৫ হাজার ৯১ টি পশু। চাহিদা আছে ২৪ হাজার ৪শত ৬৬ টি পশুর। প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল কর্তৃক কোরবানি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা দেওয়ার জন্য মেডিকেল টীম গঠন করা হয়েছে।