মাইনুদ্দিন মৎস্যঘাটে (২৩) বছর বয়সী মো: শাকিল মাঝির সাথে কথা বললে তিনি জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দশ দিন আগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে আমরা বেড়ির পাড়ে বসে জাল ও নৌকা মেরামাতের কাজ করে সময় পাড় করছি।
নিষেধাজ্ঞা শুনে যখন ফিরছিলাম তখনই দেখি শত শত ভারতীয় ট্রলার মাছ ধরছে, এরকম প্রতি বছর তারা বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারের কাছে দাবি জানাই ভারতীয় জেলেরা আমাদের জলসীমায় যেন প্রবেশ না করে। এমনিতেই এ বছর আবহাওয়া খারাপ ছিল, সাগরে মাছ শিকার করতে পারিনি। ধারদেনা করে চালাতে হচ্ছে আমাদের সংসার।
বেতুয়া নতুন স্লুইজের দোকানদার নূরে-আলম তোতা মিয়াসহ অনেক জেলেরা জানান, আমরা সবসময় অবরোধ মেনে চলার চেষ্টা করি। তবে আমরা তো (কূলে ফিরে ভাতে মরি)। মৌসুমের শুরুতে ইলিশ মাছ না পাওয়ায় আমরা ঋণ শোধ করতে পারেননি। তার ওপর মাছ ধরা বন্ধ হওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে যা পাই তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর সরকারি সুবিধা আমাদের কাছে পৌঁছাতেও সময় লাগে। এছাড়াও অনেক নিবন্ধিত জেলেরা সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে বলে জানান।
চরফ্যাশন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় চরফ্যাশন উপজেলায় ৩৫ হাজার ৩ শত ৮৬ জনকে ২৫ কেজি করে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা ভবিষ্যতে জেলেদের কাঙ্খিত ইলিশ পেতে সহায়তা করবে। তাই তিনি আহ¦ান জানান যাতে জেলেরা এ সময় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকে।