ভোলা জেলা চরফ্যাসন উপজেলায় রবি শস্য থেকে শুরু করে সকল ধরনের ফসল চাষবাদের কাজে ব্যস্ত থাকে কৃষকরা। প্রতিবছর কৃষকরা ধান, আলু, ডাল, শসা, তরমুজসহ নানা ধরনের ফসল চাষাবাদ করে। চরফ্যাসনের উৎপাদিত ফসল দেশ দেশান্তরের ভোক্তাদের কাছে পৌছে যায়।
চরফ্যাসন উপজেলায় প্রতিবছরের ন্যায় এবার ও তরমুজ চাষ করেছেন কৃষকরা।
চরফ্যাসন উপজেলায় কৃষি অফিসের তথ্য অনুসারে ১০ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ হয়েছে। জাতগুলো হলো ড্রাগন, ড্রাগন সুপার , জাম্বু, গ্লোরি, বাঙ্গালিংক জাতের তরমুজ আবাদ হয়েছে। মুজিবনগর ইউনিয়ন, আহম্মদপুর ইউনিয়ন, নজরুলনগর ইউনিয়ন, চরকলমি, মানিকা ইউনিয়নসহ আরো অনেকগুলো ইউনিয়নে তরমুজ চাষের আবাদ হয়েছে।
চরফ্যাসন উপজেলা দক্ষিণ আইচা থানার চর নলুয়া ইউনিয়নের কৃষক আখতার হোসেন তালুকদার জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও তরমুজ চাষ করেছে । তরমুজের ফলন ভালো হয় তাই ১০ বছর ধরে তরমুজ চাষ করছে। এবছর ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ২ একর জমিতে
তরমুজ চাষ করেছেন। বর্তমানে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন পাইকারি দরে।
চরফ্যাসন উপজেলা সিনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, এ বছর চরফ্যাসন উপজেলাতে প্রায় ১০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষ্য মাত্রা নিধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর ১০ হাজার ৭৮০ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষাবাদ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রমজান মাসে তরমুজ পরিপক্ব হওয়াতে কৃষকরা মোটামুটি ভালো দাম পাচ্ছে। এ বছর তরমুজ লাভজনক হয়েছে বলে জানা গেছে এবং কৃষকরা আরো আগ্রহ হচ্ছে কৃষি কাজে।
Recent Comments