চৈত্রের গরমে সারাদেশেই দেখা দিয়েছে ডায়েরিয়ার প্রকোপ। চরফ্যাসন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিনিয়তই বাড়ছে রোগীর চাপ।
চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ক্রমানয়ে বাড়ছে ডায়েরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা। এক দিনেই আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছে ১৬ জন রোগী। প্রতিবছর মার্চ ও এপ্রিলে এ ধরনে রোগীর সংখ্যা বাড়ে।
হাসপাতাল পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে চরফ্যাসন হাসপাতালে প্রায় ২৩৮ জন শিশু ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলো। বর্তমান চলতি মাসের এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০৪ জন শিশু ডায়েরিয়া নিয়ে ভর্তি হয়। গত কয়েকদিনে ডায়েরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে নতুন নতুন শিশু রোগীসহ বয়স্ক রোগীরা।
হাসপাতালে আসা ডায়েরিয়া রোগীর স্বজনরা বলছে, হঠাৎ গরমের আবহাওয়ার কারণে পরিবেশের সাথে ক্ষাপ খাওয়াতে না পারায় শিশু সন্তান সহ বয়স্করাও এ সময়টাতে ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়েছে তাই হাসপাতালে এসেছে সেবা নিতে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শোভন কুমার বসাক জানান, চৈত্রের এসময় পর্যাপ্ত ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বিগত বছর গুলোতে শয্য সংকট ও চিকিৎস কম থাকায় রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেলেও এবছর কোন সমস্যা হবে না সাধ্যমত সেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান।
গত মাসে চরফ্যাসন ১০০ শয্যা হাসপাতালটিতে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ২৩৮ জন ক্রমানয়ে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।
সুরভী ও মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।
Recent Comments