দেশীয় জাতের মাছ চাষে ঝুঁকছেন চরফ্যাসনের মৎস্য চাষিরা। এতে আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান। আর্থিকভাবে হচ্ছেন সচ্ছল।
চরফ্যাসন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের মৎস্য চাষী ফারুক মাতাব্বর প্রায় ১৫ একর জমি জুড়ে গড়ে তুলেছেন এই মাছের খামাড়।
মৎস্য চাষী ফারুক মাতব্বর বলেন, প্রায় ১৮ বছর আগে যশোর থেকে মাছের রেণু পোঁনা এনে এবছরের শুরুতে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় করে ১৫ একর জমিতে পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ও কৈ মাছের চাষ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে পাঙ্গাস মাছের গড় ওজন দেড় থেকে তিন কেজি বলে জানান। তিনি আরো বলেন, বছর শেষে খরচ বাদে প্রায় ২৫ লাখ টাকায় আয় হবে বলে আশা করছেন ফারুক মাতাব্বর।
ছেলে মোঃ সুমন বলেন, বাবার সাথে খামারে খাবার দেওয়া, পুকুরের পরিচর্যা, মাছ ধরা ও বিক্রিসহ ইত্যাদি দেখাশুনা করে থাকি।
প্রতিবেশি রিংকু বলেন, আমাদের বাড়ির পাশেই এই মাছের খামার। খামারে যখন মাছ ধরে এখান থেকে আমরা তুলনামূলক কম দামে কিনতে পারি।
উপজেলা মৎস্য অফিসার জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, চরফ্যাসন উপজেলায় মৎস্যজীবীরা সামুদ্রিক মাছ আহরণের পাশাপাশি পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, কার্প জাতীয় মাছ, কোরাল, শিং-মাগুড়সহ বিভিন্ন দেশীয় জাতের মাছ চাষ করেন। এই উপজেলায় প্রায় ২৪ হাজার মৎস্যচাষী রয়েছে। এই চাষীদের যে কোনো প্রয়োজনে উপজেলা মৎস্য বিভাগের এবং ০১৭৬৯৪৫৯৫৭৯ নম্বরে কল করেও পরামর্শ নিতে পানের।