বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে গ্রাম অঞ্চলে পুকুর, ডোবা, নালা ও খাল-বিলে পানি জমে যাওয়ায় প্রায় প্রতি বছরই এ সময়ে বিভিন্ন স্থানে শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। গ্রামগঞ্জে অভিভাবকদের বেশি অসাবধানতাবশত শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে। চর-মাদ্রাজ ১নং ওয়ার্ডের গিয়ে দেখি, ফাহিনুর বেগম(৩৬) তার সন্তানের জন্য নজরদারির বাড়াতে ঘরের সামনে কাঁঠ দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংসারের কাজ করতে গিয়ে শিশুদের দিকে অনেক সময় খেয়াল রাখা সম্ভব হয়ে হঠে না। এতে অনেক সময় তারা চোখের আড়াল হয়ে পানির কাছে যেন না যেতে পারে তাই ঘরের দরজার সাথে কাঁঠ দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেন বলে জানান।
এবিষয়ে রেডিও মেঘনার সাথে কথা বলেন, চরফ্যাসন সরকারি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ড. মাহাবুব কবির। তিনি বলেন, প্রতিবছর বিভিন্ন দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে পানিতে ডুবে এবং মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় অভিবাবকরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন এবং শিশুদের দিকে খেয়াল থাকে না। এতে তারা একা অথবা বাড়িতে থাকা অন্যান্য শিশুদের সাথে পানির কাছে গিয়ে খেলাধুলা করে এবং একপর্যায়ে কৌতুহলবশত পানিতে নেমে যায় অথবা সাথে থাকা শিশু না বুঝে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। এক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় সাথে থাকা শিশুও তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে এবং একক কিংবা একাধিক প্রাণহানি ঘটে।
তাই পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে প্রথমেই অভিবাবকের সচেতন হতে হবে। আর শিশুরা যতদিন পর্যন্ত সাঁতার না শিখতে পারে ততদিন পানি থেকে দূরে রাখতে হবে। শিশুদের পানিতে পড়ে যেতে দেখলে পানি থেকে তুলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে অর্থাৎ মাটিতে উপুর করে রেখে পেটে চাপ দিয়ে পেট থেকে পানি বের করার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।

রেডিও মেঘনা ৯৯.০এফএম এর সাপ্তাহিক “আজকের শিশু” আয়োজনটি শুনতে পান প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার বিকাল ০৫:০০টায়। শুধুমাত্র রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএম এ।