চরফ্যাশনের সবুজ মাঠ আর কৃষকের পরিশ্রম এখানেই জন্ম নিচ্ছে নতুন নতুন কৃষি সাফল্যের গল্প। এবার সেই সাফল্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বস্তায় আদা চাষ।
হাজারিগন্জ ইউনিয়নের আব্দুর রহিম। বয়স ২৭। বিএ শেষ করে অনেকেই হয়তো চাকরির দিকে ছুটে যান, কিন্তু তিনি বেছে নিয়েছেন কৃষি পেশা। নিজের মাটি আর শ্রমের প্রতি ভালোবাসা থেকেই শুরু করেছিলেন এই উদ্যোগ। পতিত জমি ও গাছ তলায় বস্তায় আদা চাষ শুরু করেন উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায়। প্রথাগত জমিতে চাষের বদলে বস্তায় চাষের ফলে পানি নিয়ন্ত্রণ, রোগবালাই দমন এবং জায়গা সাশ্রয় সবই সহজ হয়েছে বলে জানান তিনি।
এবছর চারশত বস্তায় আদা চাষ করেছেন। প্রতি বস্তা আদা চাষের জন্য প্রস্তুত, বীজ রোপণসহ খরচ হয়েছে প্রায় ষোল হাজার টাকা। আশানুরূপ ফলন হয়েছে, ধারণা করছেন প্রতি বস্তা থেকে ১ থেকে ২ কেজি পর্যন্ত আদা তোলা যাবে। স্থানীয় বাজারে আদার চাহিদা ভালো থাকে, আর দামও বেশ ভালো। ফলে প্রথম বছরেই লাভের সম্ভাবনা দেখছেন আব্দুর রহিম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা জানান, এবছরই প্রথমবারের মতো চরফ্যাশন বস্তায় আদা চাষাবাদ হয়েছে। বাড়ির আশপাশে, পতিত জমিতে এবং ছায়াযুক্ত স্থানেও বস্তায় আদা চাষ করা যায়। তাই কেউ পারিবারিক পর্যায়ে শুরু করে বানিজ্যিক পর্যায় পর্যন্ত চাষাবাদ করে সফল হতে পারবেন। চলতি বছর বস্তায় আদা চাষের লক্ষ মাত্রা ছিলো বার হাজার আটশত হেক্টর জমি। তবে লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে তের হাজার পাঁচশত হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে আদা।
বস্তায় স্বাস্থ্য সম্মত আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে চরফ্যাশনের কৃষকদের। শুধু নিজের জন্য নয়, অন্য যুবকদেরও কৃষিতে আগ্রহী করতে চান আব্দুর রহিম।