মোহাম্মদপূর ৬নং ওয়ার্ডের ইসমাইল মাঝি (৫৫)। পেশায় একজন মৎস্যজীবী। ছোট বেলায় শুধু নদীতে মাছ শিকার করলেও এখন সাগরেও মাছ ধরে থাকেন। এই পেশায় নিয়োজিত থাকার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে প্রায় প্রতি বছরই সাগরে গেলে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়তেন। তাই এখন প্রতিবার সাগরে যাওয়ার আগে আবহাওয়ার তথ্য শোনেন। এছাড়াও এখন সব-সময় বোডে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া রাখেন। শিখেছেন জাল তুনা এবং বোনা সম্পর্কেও। ফলে নিষেধাজ্ঞার সময় জাল তুনা এবং বোনার কাজ করেন।
একই এলাকার মৎস্যজীবী দেলোয়ার হোসেন (৩১)। মাছ ধরেই বহন করছেন সংসারের যাবতীয় খরচ। পড়া-শুনা করান সন্তানদেরও। আগে অন্যের নৌকায় থেকে মাছ শিকার করলেও বর্তমানে নিজের বোডেই রয়েছে ১২ থেকে ১৩ জন মাঝি। তিনি জানান, আমার আজকের এই অবস্থানের জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। দিনের পর দিন পরে ছিলাম মানুষের বোড নিয়ে সাগরে। বহুবার লড়াই করেছি প্রাকৃতিক দূর্যোগ এবং জলদস্যুদের সাথেও।
সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘জেলে জীবন ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ’। শুনুন ৯৯.০ এফএম এ বৃহস্পতিবার বিকেল ০৫:০০ টায়।