চরফ্যাসন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাবেয়া। জানান, শৈশব শেষে যখন কৈশরে পা রাখে, তখনই শারীরিক নানান পরিবর্তন দেখে ভয় পেয়ে যায়। প্রথমে গোপন রেখেছেন মায়ের কাছেও। প্রতি মাসেই একটি নির্দিষ্ট সময়ে কয়েক দিন বিদ্যালয়ে আসতো না। এই সময়ে বাড়িতে অবস্থান করায় শ্রেণির কাজে অংশ নিতে পারে না রাবেয়া। একদিকে তার পড়াশোনার ক্ষতি অন্য দিকে জীবনের এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। তাই সারাক্ষণই মনমরা হয়ে থাকে সে। এ বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে লজ্জাবোধ করতো। রাবেয়া বলেন, বিদ্যালয়ে সহপাঠী, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী সঙ্গেও তেমন কথা বলতো না সে। তার আচরণের এমন পরিবর্তন দেখে একদিন তার মা তাকে জিজ্ঞেস করলে ভয়ে ভয়ে সে মাকে সব কথা বলে। পরবর্তীতে মা তাকে সব বিষয়ে বুঝিয়ে বললে সে মনে সাহস পায় এবং মায়ের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন-যাপন করে।
এই বিষয়ে ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জুলিয়া ইয়াসমিন জানান, বয়ঃসন্ধিকাল প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এর মাধ্যমে শৈশব ছেড়ে কৈশরে এবং যৌবনে পা রাখা হয়। ১০-১৯ এই সময়ে কিশোরীদের পিরিয়ড শুরু হয়, শারীরিক গঠন পরিবর্তন হতে থাকে ছেলেদের গোফ উঠে, কন্ঠস্বরে পরিবর্তন হয় উভয়ের মনে নানা কৌতূহল, প্রশ্ন ও দ্বিধা-দ্বন্দ দেখা দেয়। এসব কাটিয়ে উঠে একটি স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন করতে অভিবাবকরা সন্তানকে উৎসাহ দিতে হবে বলে জানান। সব-সময় তাদের সাথে যে কোনো বিষয়ে খোলা-মেলা আলোচনা করা, তাদের মন খারাপে ঘুড়তে বা বেড়াতে নিয়ে যাওয়া, কোনো বিষয়ে চিন্তিত মনে হলে কথা বলে তার সমাধান দিতে হবে বলেও জানান তিনি।