প্রকৃতিতে বইছে শীতের আগমনী বার্তা। আর শীত মৌসুম সামনে রেখে চরফ্যাসন বাজারে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, শিম, টমেটো, পেঁপে, কৃষ্ণচূরা মরিচসহ নানা ধরণের সবজির চারা বিক্রির ধুম পড়েছে। জমে উঠেছে প্রতিটি হাট-বাজার। অন্যান্য সময়ের চেয়েও শীতের মৌসুমে এসব শাক-সবজির চারার দাম ভালো পাচ্ছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের অধিকাংশই নিজেদের নার্সারিতে এসব চারা উৎপাদন করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকেন।
চরফ্যাসন সদর রোডের পাশে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার বসে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির চারার বাজার। এখানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮/১০ জন বিক্রেতা তাদের নার্সারিতে উৎপাদন করা চারা এনে বিক্রি করেন। এসব চারা বিক্রেতারা শীতকে কেন্দ্র করে তাদের নার্সারিতে সবজির চারা উৎপাদন করেন। কারণ শীতের সময়ে সবজির চারার কদর এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। বর্তমানে ক্রেতাদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় বেগুন, লাউ, কুমড়া, টমেটো, পুঁইশাক এবং মরিচের চারা। এসব চারার মূল্য প্রকারভেদে ১০ টাকা থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত।
সবজির চারা বিক্রেতা মিজানুর রহমান ও মামুন সওদাগর জানান, নিজ বাড়ির আঙিনায় ৩২ শতাংশ জমিতে করেছেন নার্সারি। ওই নার্সারিতেই গত ১৫ বছর ধরে নানা জাতের শাক-সবজির চারা উৎপাদন করে আসছেন। প্রতি হাটে কখনো ৫ হাজার, কখনো ১০ হাজার টাকার চারা বিক্রি করতে পারি। যেখান থেকে খরচ বাদে হাটপ্রতি আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা লাভ হয়। ক্রেতারা এসে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী চারা কিনে নেন। এছাড়া অনেক খামারি বাড়ি থেকেও গিয়ে চারা সংগ্রহ করেন।
সবজির চারা ক্রেতা মিঠুন মিয়া জানান, বাড়ির আঙিনায় লাগাতেই বেগুন, লাউ এবং মরিচের চারা কিনেছেন। বাজারে সবজির দাম চড়া থাকায় বাড়ির আঙিনায় চারা রোপণ করে নিজেদের পারিবারিক সবজি চাহিদা পূরণ করবেন।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শীতকালীন আগাম সবজি ফলনে কৃষকরা অপেক্ষাকৃত বেশি লাভবান হয়ে থাকে। তবে অসময়ের বৃষ্টিতে কখনো কখনো সবজির ক্ষতি হয়ে থাকে তাই কৃষকদের সতর্ক থাকতে হয়। এছাড়া পোকামাকড়ের আক্রমণ ও অন্যান্য যেকোন সমস্যায় কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হয়।
Recent Comments