ভোলা চরফ্যাশনের মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও সাগর উপকূল থেকে অবৈধভাবে বিভিন্ন চর-চরাঞ্চলের জেলেরা অবাধে ‘চাই’ দিয়ে পাঙ্গাশের পোনা আহরণ করছে। এতে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে দেশীয় জলজ প্রাণী ও মাছের পোনা। মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বাড়াতে অবৈধভাবে পাঙ্গাশের পোনা শিকার বন্ধের দাবি স্থানীয়দের। অবৈধ ভাবে শিকার হওয়া পাঙ্গাশের পোনা রক্ষায় প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে মৎস্য বিভাগ।

মেঘনা তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন এলাকায় খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বেতুয়া লঞ্চঘাট, স্লুইজ গেইট, নতুন স্লুইজ গেইট, সামরাজ, খেজুরগাছিয়া, আট কপাট, পাঁচকপাট, মাইনকা, ঢালচরের সাগর উপকূলের চর সমূহে এক শ্রেণির মুনাফালোভী জেলে চক্র বাঁশে তৈরি চাই দিয়ে অবৈধভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার পাঙ্গাশের পোনা শিকার করেই চলেছে।

প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বর্তমানে কিছু জেলে চক্র যে পরিমাণ পাঙ্গাশের পোনা অবৈধভাবে শিকার করছে এতে শুধু পাঙ্গাশের পোনা নয়, হুমকির মুখে পড়ছে অন্যান্য প্রজাতির মাছের পোনা ও ডিম। নির্বিচারে ডিম ও পোনা ধ্বংস করায় কমে যাচ্ছে নানা জাতের দেশি মাছের উৎপাদন। ফলে বাজারে দেশি মাছের সরবরাহ কমে বাড়ছে দাম।

এবিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, দেশীয় প্রজাতের পাঙ্গাশের পোনা শিকার বন্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে, এছাড়া প্রচারণা চালানোর পাশপাশি বিভিন্ন ঘাটে সভা করা হচ্ছে। এর মধ্যে অভিযানে উদ্ধার হওয়া প্রায় কয়েক হাজার মাছের পোনা নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে পাঙ্গাশের রেনু আহরণ করা অবৈধ বলে ঘোষণার পাশাপাশি ছোট পোনা শিকার বন্ধ করে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষার দাবি চরফ্যাশনবাসীর।

সুরভী ও মৌসুমী

রেডিও মেঘনা, চরফ্যাশন।