পৌষের কনকনে শীত আর কুয়াশা মাড়িয়ে নতুন বইয়ের জন্য নিজ নিজ ক্লাসে উপস্থিত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে চরফ্যাসনে বিপুল আনন্দ-উৎসাহের মধ্য দিয়ে নতুন বছরের বই বিতরণ শুরু হয়েছে। তবে সব শ্রেণির পাঠ্যবই প্রতিষ্ঠানগুলোয় না পৌঁছার কারণে বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাচ্ছে না। যারা বই হাতে পেয়েছে তাদের দেখা যায়, নতুন বইয়ের পাতা উল্টে উল্টে ঘ্রাণ নিতে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে প্রতিটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন স্কুলের শিক্ষকরা। সকাল থেকে প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হলেও সরবরাহ না থাকায় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এখনো বই পান নি।
১৮৪নং মধ্যে চরফকিরা কো-ইড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক জানান, প্রতি বছরের পহেলা জানুয়ারি আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তলে দেই। তবে এবছর বই ছাপানোর কাজ শেষ না হওয়ার কারনে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেওয়া হয়নি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীরা সকল বই পেয়েছেন। চতুর্থ শ্রেণি ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই পাওয়ার কাজ চলমান রয়েছে। আজ বছরের প্রথম দিনেই সকলের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি আজ থেকে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি আরো জানান, চরফ্যাসন উপজেলায় ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য বিনামূল্য যে চাহিদাকৃত বই দরকার তার সংখ্যা হলো ৩ লক্ষ ৭০ হাজার ৭০০ নব্বই। ইতোমধ্যে ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫০০ নব্বই পিস বই এসেছে। বছরের শেষ পর্যায়ে সব বই ছাপা হয়নি। ফলে বছরের প্রথম দিন সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে খুব তাড়াতাড়ি সকলের হাতে বই পৌঁছে যাবে বলে জানান তিনি।
Recent Comments