ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার জিন্নাগড় গ্রামের সংকর তালুকদার একজন সফল উদ্ধোক্তা।প্রথমে শখ করে লেয়ার মুরগির খামার করলেও এখন এটিই তার উপার্জনের পথ। কৃষিকাজের পাশাপাশি বাড়তি লাভের আশায় পরিবারের পরামর্শে ও নিজ উদ্যোগে বাড়ির পাশে লেয়ার জাতের মুরগির খামার করেছেন সংকর তালুকদার। এমন খামার করে প্রথমে অনেক লোকসান হলেও বর্তমানে তিনি লাভবান হয়েছেন। তার এ কর্মকান্ডের জন্য এখন তিনি নিজ এলাকায় সাফল্যের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন।
সংকর তালুকদার জানান, কৃষিকাজের পাশাপাশি তিনি ব্রয়লার মুরগির খামার করেন। পরে অধিক লাভের আশায় এক এক করে পর্যায়ক্রমে নিজের প্রচেষ্টায় তিনিই প্রথম চরফ্যাসনে ৬০ লক্ষ্য টাকা ব্যয় করে তিনটি লেয়ার মুরগির খামার দিয়েছেন। খামারে এখন মুরগির সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। তার খামার থেকে নিয়মিত তিন হাজার মুরগির থেকে ডিম সংগ্রহ হয় প্রায় দুই হাজার ছয়শ। এসব ডিম চরফ্যাসন উপজেলার বাজারে ৮শ টাকা শতে বিক্রি করা হয়। তবে লাভের পরিমাণ নির্ভর করে ডিমের বাজারের ওপর। যদি ডিমের বাজার ভালো থাকে তবে আরো বেশি লাভ হয়।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, মুরগির খাদ্যের পিছনে প্রতিদিন ২০ হাজার টাকার ব্যয় হলেও ডিম বিক্রিতে প্রতিদিন সকল খরচ পুষিয়ে চার হাজার টাকা লাভ হয়। এখন তার খামারে খাচাসহ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মুরগি রয়েছে। খামার পরিচর্যায় তার পরিবারসহ শ্রমিককে কাজে লাগাচ্ছেন তার সফলতা দেখে বর্তমানে চরফ্যাসনের বিভিন্ন এলাকায় আরো ১০ টি লেয়ার মুরগির খামার গড়ে তুলেছে অনেকেই। ভবিষ্যতে তিনি আরো কয়েকটি লেয়ার মুরগির খামার গড়ে তোলার আশা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে তার স্ত্রী স্বরজনী তালুদার বলেন, তার স্বামীর পাশাপাশি তিনিও প্রতিদিন লেয়ার মুরগির খামারে পরিচর্যা করেন। মুরগির খামার দিয়ে এখন আগের থেকে অনেক লাভবান আছেন এতে তার কাছেও ভালো লাগছে একজন সফল খামারী হতে পেরে।
প্রতিবেদনে সুরভী ও অধরা
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন