তাপমাত্রা বৃদ্ধির পর সারা দেশেই জেঁকে বসেছে শীত। এর ধারাবাহিকতায় দক্ষিনের জেলা ভোলার চরফ্যাসনেও ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসে তীব্র হচ্ছে শীতের প্রকোপ। আর কুয়াশার প্রভাবে ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পরেছেন নিম্ন আয়ের কর্মজীবী মানুষ।
আবহাওয়ার তথ্য মতে, ভোলায় প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকছে ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তাপমাত্রা আরো কমার সম্ভাবনাও রয়েছে।
ভোলা জেলা সহ চরফ্যাসন উপজেলায় শীতে কাবু হয়ে পড়েছে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ। আগুন জালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। সারা দিনেও দেখা মিলছে না সূর্যের। বেশি দুর্ভোগে পড়েছে দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক, রিকশা-ভ্যান চালকসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। জীবিকার তাগিদে কুয়াশা আর ঠান্ডা উপেক্ষা করে কর্মস্থলে ছুটতে হচ্ছে কর্মজীবিদের। এছাড়া ঘন কুয়াশায় দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনকে।
এদিকে চরফ্যাসনে মৃদ্যু শৈতপ্রবাহের হাড় কাপানো ঠান্ডায় হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা, এতে রোগীদের শীতে সুস্থ্যতার জন্য বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরামর্শের পাশপাশি স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকসহ নার্সরা।