হালিমাবাদ এলাকার সিরাজুল ইসলাম। বয়স প্রায় ৫০ ছুঁইছুঁই। ছোটবেলা থেকেই বাবার সাথে ক্ষেতের কাজ করতেন।
আগে প্রতি মৌসুমে বাজার থেকে বীজ কিনতাম। অনেক সময় ভালো বীজ মিলত না, ফলনও কম হতো। তখন ভাবলাম, নিজের ভালো ফলনের গাছ থেকে বীজ রেখে দেই এভাবেই বলেন তিনি বীজ সংরক্ষনের শুরুর কথা।
তার উদ্যোগ শুরু হয় ধান আর শাকসবজির বীজ দিয়ে। ফসল কাটার পর ভালো মানের কিছু গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে তিনি তা রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে টিনের ঝাড়ে রেখে দেন। বীজের উপরে বিশকাটালী বা নিম পাতা শুকনো মরিচ আর ছাঁই ব্যবহার করেন পোকামাকড় থেকে রক্ষা করার জন্য। এখন তার সংগ্রহে রয়েছে ধান, মরিচ, করলা, মিষ্টি কুমড়া সহ বিভিন্ন ফসলের নিজস্ব বীজ।
আশেপাশের কৃষকদেরও বীজ সংরক্ষনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন সিরাজুল ইসলাম। অনেকেই এখন তার কাছ থেকে বীজ নিতে আসেন।
চরফ্যাসন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, কৃষকরা যদি নিজেরাই প্রাকৃতিকভাবে বীজ সংরক্ষণ করেন, তবে সেটা পরিবেশবান্ধব এবং কৃষিকেও দীর্ঘমেয়াদে লাভবান করবে।
রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক ‘কৃষি ও কৃষক’ অনুষ্ঠানটি শুনতে পান প্রতি সপ্তাহের বুধবার বিকাল ০৫:০০ টায়। শুধুমাত্র রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএম এ।