চারা রোপন থেকে শুরু করে ফসল কাটার ক্ষেত্রেও ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রের। পুরোনো ধারণা থেকে বেড়িয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারে বদলে দিচ্ছে কৃষকের জীবনমান। ফলে কমে আসছে খরচ সেই সাথে শ্রমিক সংকট যেমন দূর হচ্ছে তেমনি বাড়ছে ফসলের উৎপাদনও। কৃষিতে আধুনিকায়নে আশাবাদী চরফ্যাসনের কৃষিদপ্তরসহ কৃষকরা।
দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো চরফ্যাসন উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারে শুরু হয়েছে আগাম জাতের আমন ধান কাটা।
কৃষকরা বলছেন, এবছর আমন ধানের চারা রোপন থেকে শুরু করে ধান কাটা ও মাড়াই সবই হয়েছে যন্ত্রের মাধ্যমে। আধুনিক এই চাষ পদ্ধতিতে ধান কাটায় সময় যেমন সাশ্রয়ী হয়েছে তেমনি আগের তুলনায় উৎপাদনও বেড়েছে এবং শ্রমিক খরচও কমেছে ফলে খুশি তারা। কৃষকরা আরো বলছেন অন্য সময় ধান কাটার সময় জমিতে যে পরিমাণ ধানের অপচয় হতো সেটি এবার রোধ করা গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, কৃষি প্রণোদনার আওতায় সরকার ভূর্তিকি দিয়ে হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করেছে চরফ্যাসনের কৃষকদের। কৃষিকে সহজ লাভজনক ও আধুনিক করতেই কৃষিতে যান্ত্রিকি করণে উদ্যেগ নিয়েছে সরকার।
আমন ধান বপণ থেকে শুরু করে কাটা এবং মাড়াই সব কিছুই শেষ হচ্ছে যন্ত্রের মাধ্যমে। কৃষিতে আধুনিকায়নের ছোঁয়া কারণে উৎপাদনও বেড়েছে। অন্যদিকে সব কিছু মিলিয়ে আধুনিক যন্ত্রের ছোয়াঁ কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিবেদনে সুরভী
সংগ্রহে মৌসুমী মনীষা, উম্মে নিশি ও অধরা ইসলাম
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।