সুখি বা ছোট সংসার গড়ে তুলতে ভোলার উপকূলীয় এলাকার প্রান্তিক পর্যায়ের নারীরাও পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এখনো ভোলা জেলার অনেক নারী জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি সর্ম্পকে জানেন না। তবে সরকারের নানাবিধ প্রচেষ্টার ফলে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির বিভিন্ন তথ্য পৌঁছে যাচ্ছে প্রান্তিক পর্যায়ের ঘরে ঘরে। এমনি একজন নারী চরফ্যাসন উপজেলার শরিফ পাড়ার সাফিয়া খাতুন (ছদ্ধ নাম)। তিনি জানান, স্বাস্থ্য পরিদর্শকের পরামর্শ অনুয়াযী ১০ বছর মেয়ারী আইইউডি বা কপাটি গ্রহণ করেছেন। ২ সন্তানের জননী হওয়ায় মূলত এই পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তিনি ও তার স্বামী। বেশি সন্তান হলে তাদের সংসারের অভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও সন্তানদের পড়ালেখা করানো সম্ভব হবে না ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান এই দম্পতি। এবিষয়ে এফ ডাব্লিউ এ সাহিদা আক্তার বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি আইইউডি বা কপাটি মূলত নারীদের জরায়ুতে পরানো হয়। যেসব নারীরা পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করতে আসেন তাদেরকে আগে পদ্ধতি সর্ম্পকে ধারণা দেওয়া হয়। পরে তাদের পছন্দমত পদ্ধতি গ্রহণ করেন। জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি আইইউডি বা কপাটি ব্যবহার করলে ১০ বছর ধরে কোনো নারী বা দম্পতিরা সন্তান সম্ভবা হবেন না। আবার ১০ বছর পর এই আইইউডি বা কপাটি খুলে ফেললে পূনরায় সন্তান নিতে পারবেন বলে জানান। মৌসুমী মনীষারেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন-ভোলা।
Recent Comments