চরফ্যাসনে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। এ বছর উপজেলার ৪টি থানার অধিনে মোট ১৩টি পূজামন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে উপজেলার অধিকাংশ পূজা মন্ডপের প্রতীমা গড়ার মূল কাজ এবং রং করার কাজও শেষ হয়েছে।
বিগত বছরের তুলনায় এ বছর দূর্গাৎসবে দ্বিগুন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে আয়োজকদের। এরপরও থেমে নেই কোন আয়োজন। হাতে মাত্র আর কয়েক দিন বাকি। তাই উৎসবের রঙে সাজছে পূজা মন্ডপগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে শ্রী শ্রী হরি বাড়ি পূজা মন্ডপের কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শারদীয় দূর্গাপূজার সকল কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ডপে চলছে উৎসবের ব্যাপক প্রস্তুুতি। আবার কোথাও চলছে সাজ-সজ্জা, প্যান্ডেল ও ডেকোরেশনের কাজ। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে বলে জানালেন আয়োজকরা।
পূজা উপলক্ষে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। জামা কাপড় তৈরি ও কেনা-কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে বিপণী বিতানগুলো।
উপজেলার পূজা উদযাপন উপলক্ষে পৌর মেয়র মোঃ মোরশের্দ বলেন, এ বছর উপজেলার চরফ্যাশন উপজেলায় ১৩টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে দেবী দুর্গার অকালবোধন শুরু হবে। এ উপলক্ষ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ সুষ্টভাবে সম্পূন্ন করার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা রয়েছে।
চরফ্যাসন থানার অফির্সাস ইনর্চাজ মোঃ মুরাদ হোসেন বলেন, শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে চরফ্যাসন থানার অধিনে ৬ টি পূজা মন্ডপে পুলিশের পক্ষ থেকে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদস্যরা পূজামন্ডপসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিশেষ নজরদারী রাখবে।
এছাড়া প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় পূজা কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবককর্মী নিয়োগ করা হবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসব পালনের লক্ষ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সুরভী ও ফতেমা
রেডিও মেঘনা-চরফ্যাসন।