চরফ্যাশনে দিন দিন লাভজনক ফসল হিসেবে আখ চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গত বছরের তুলনায় এ বছর আখ চাষে কিছুটা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
উপজেলার রসুলপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক মোঃ দুলাল হাজারী (৬১) দীর্ঘ ৭ বছর ধরে আখ চাষ করে আসছেন। এ বছর তিনি ১৮ গন্ডা (১৪৪ শতাংশ) জমিতে আখ চাষ করেছেন। রোগবালাই কম হওয়ায় আখের ভালো ফলন হয়েছে এবং তিনি যথেষ্ট লাভবান হয়েছেন।
দুলাল হাজারী জানান, প্রতি গন্ডা আখ চাষে প্রায় ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। স্থানীয় বাজারে খুচরা বিক্রির পাশাপাশি তিনি বেয়ারিদের কাছেও আখ বিক্রি করেছেন। প্রতি গন্ডা আখ বেয়ারিদের কাছে ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি।
আখ কিনতে আসা মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী মোঃ কবির বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে আখ কিনে তিনি হাটবাজারে বিক্রি করেন। তিনি জানান, রসুলপুরের কৃষক দুলাল হাজারীর কাছ থেকে ৩২ শতাংশ জমির আখ কিনেছেন এক লক্ষ টাকায়। বাজারজাত করা পর্যন্ত আনুষঙ্গিক আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হবে । বিক্রির পর অন্তত ৪০ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষিবিদ জনাব নাজমুল হুদা জানান, এ বছর আবহাওয়া আখ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী ছিলো। তাই কৃষকরা ভালো ফলন পেয়ে লাভবান হয়েছেন। তিনি আরও জানান, এ বছর চরফ্যাশন উপজেলায় ১৮০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে, যা গত বছর ছিলো ১৭৫ হেক্টর।
আখ চাষে স্থানীয় কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি বাড়ছে এলাকার অর্থনৈতিক গতিশীলতাও।