গতকয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পানি জমেছে বেবি তরমুজ গাছ পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাতে, তরমুজ চাষিদের কপালে এখন দুশ্চিন্তার ভাঁজ। লাভের পরিবর্তে লোকসানের শঙ্কায় আছেন তারা।
চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ২নং ওর্য়াডে গিয়ে দেখা গেছে, টানা ভারী বৃষ্টির কারনে তরমুজ ক্ষেতে পানি জমেছে। কৃষকরা পানি নিষ্কাশনে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু, তরমুজ গাছের গোঁড়ায় পানি জমায় গাছ পচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কিছু সংখ্যক কৃষক মাত্র তরমুজের বীজ বপন করেছেন কিন্তু বৃষ্টির পানির কারনে সকল কিছু নষ্ট হয়ে গেছে।
রসুলপুর ৩নং ওয়ার্ডের মো: আলমগীর হোসেন বলেন, এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে বেবি তরমুজ চাষ করেছেন। বর্ষার কারনে এ বছর তরমুজ তেমন বড় হয়নি। এর আগের বছর তরমুজ এ সময়ে ৫ থেকে ৬ কেজি ওজনের হয়েছিল কিন্তু এ বছর তরমুজ এখনো ছোট। পানির কারনে তরমুজ গাছ মরে যাওয়ার আশংকায় রয়েছে।
একই এলাকার তরমুজ চাষী আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, এ বছর তরমুজের বীজ বপন করার সাথে সাথে বৃষ্টি শুরু হয়েছে । বৃষ্টির কারনে পানি জমে সকল বীজ পচেঁ গিয়েছে। আবার পুনরায় বীজ বপন করতে হবে এতে করে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। গতবছর ও তরমুজ চাষ করে ভালো লাভ হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ নাজমুল হুদা বলেন, চরফ্যাশনে এ বছর বেবি তরমুজ আবাদ হয়েছে ২ একর জমিতে । টানা বৃষ্টির ফলে এ বছর তরমুজের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকার কারনে গোড়া পচাঁ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক গাছ মারা যেতে পারে।কৃষকদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, তরমুজ চাষ করতে হলে অবশ্যই আগে জমি বাছাই করতে হবে । মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করলে বৃষ্টির পানিতে আর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না
Recent Comments