আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভোলার চরফ্যাসনে খামারি ও ব্যাক্তি পর্যায়ে কোরবানী যোগ্য করে তোলা হয়েছে গবাদিপশু গুলোকে।
ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় মাঠে চড়ে বেড়াচ্ছে একাধিক গরু। প্রতিদিন সকাল থেকে মাঠে সবুজ ঘাস লতাপাতা খেয়েই প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠছে দেশী জাতের গরু। দেশী জাতের গরু পালনে কৃষকের অতিরিক্ত কোনো খচর নেই। তাই লাভও বেশি পায় চাষীরা।
প্রাণীসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, এবছর চরফ্যাসন উপজেলার ২১ টি ইউনিয়নে কোরবানি যোগ্য ১৪ হাজার ২৩১ টি গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এখানকার চাহিদা ১৩ হাজার ৮০০পশু। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় ৪৩১টি গবাদিপশু বেশি প্রস্তত রাখা হয়েছে।
এদিকে চরফ্যাসনের বিভিন্ন এলাকার খামারিরা বলছেন, কোরবানি যোগ্য পশুগুলোকে বাড়তি যত্নেব্যস্ত সময় পার করছে। গতবছরের চেয়ে এবছর পশুর খাবারের দাম বেড়েছে। একএকটি গরুর খাবার বাবদ প্রতিদিন কমপক্ষে ৪-৫শ টাকা খরচ হচ্ছে। তবে খাবারের দাম বেশি হলেও এবার ভালো দামে পশু বিক্রি করতে পারবেন।
উপজেলা প্রানীসম্পদ (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রহমতুল্লাহ বলছেন, প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠা দেশীজাতের গরুর চাহিদা অনেক বেশি। এবার চরফ্যাসনে কোরবানীর পশুর কোনো সংকট হবেনা। দেশীয় পশুতেই কোরবানী সম্পন্ন করতে পারবেন চরফ্যাসনের মানুষ।এবার খামারি ও ব্যক্তি পর্যায় কোরবানি যোগ্য করে তোলা হয়েছে প্রায় সহস্রাধিক কোরবানির গবাদিপশু।
সুরভী ও অধরা ইসলাম।
রেডিও মেঘনা,চরফ্যাসন।