আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন চরফ্যাসনের খামারিরা। তবে বাজারে গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু মোটাতাজাকরণে খরচ গুনতে হচ্ছে আগের চেয়ে অধিক। তবে প্রানী সম্পদ দপ্তরের সূত্রে জানা যায়, এখন থেকেই ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম অবৈধভাবে গরু মোটাতাজাকরণ হচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করছে।
চরফ্যাসন উপজেলার আব্দুল্লাপুর,আবুবক্করপুর উত্তর মাদ্রাজসহ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি খামারে গিয়ে দেখা গেছে, কোরবানির হাটে গরু বিক্রির জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে কাঁচা ঘাস, গমের ভুঁসি, চালের কুড়া, খৈল ও খেশারি খাইয়ে প্রস্তুত করছেন।
আবদুল্লাহপুর এলাকার নসু মিয়ার গরুর খামার কর্মচারি মাকসুদ বলেন, এবছর কোরবানিতে গরুর চাহিদা অনেক তবে গো খাদ্যের দাম বেশি তারপরেও আগের মতো গরুকে মোটাজাতা করণে খাদ্য দিয়ে থাকেন। দৈনিক একটি গরুর পিছনে ২০০ টাকা মতো খাদ্যে খরচ হয়। বিক্রি যোগ্য এবারের প্রতিটি গরুর মূল্য প্রায় ৮০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ২০ টা দেশী ও অস্ট্রেলিয়ার জাতের গরু রয়েছে। এখনো যার আনুমানিক বাজার মুল্য ৮০ লক্ষ টাকা, বিগত বছর করোনার জন্য লোকসান হওয়াতে এবারও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দুঃচিন্তায় খামারি।
অন্যদিকে গরুর খামারি ইসরাত জাহান নিপা বলেন, কিছুদিন আগে ৪০ টি গরু ছিলো সব বিক্রি করে এখনো বর্তমানে ৫ টি গরু রয়েছে তার খামারে এবার কোরবানিতে ৫০ হাজার টাকার মূল্যের ৩ টি গরুর বিক্রি করবেন।
চরফ্যাসন উপজেলা উপ-সহকারি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আবু সাঈদ জানান, চরফ্যাসনে ৪ টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম খামারে গিয়ে অবৈধভাবে গরু মোটাতাজাকরণ হচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করছে। এবছর উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার ৩শ টি গরু মোটাতাজা করণ হয়েছে তাও সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে।
জিন্নাত সুরভী ও মৌসুমী মনীষা
রেডিও মেঘনা, চরফ্যাসন।