ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, চর নিজাম, চর ফারুকি, মুজিব নগর কুকরি মুকরি ইউনিয়নের চর পাতিলায় নিম্নাঞ্চলে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলের ১০ হাজার মানুষ।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চরফ্যাশনে ঝড়ো হাওয়ায় আতঙ্কিত উপকূলের নদী তীরবর্তী মানুষ। বেতুয়া বাধের ব্লক ডেবে এখন ঝুঁকিতে বেড়িবাধ। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো বাতাসে চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও বিদ্যুতের সঞ্চালন তারে গাছপালা পরে উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। বেতুয়া মেঘনা পাড়ে বেড়িবাধ রক্ষায় শ্রমিকরা কাজ করছে।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পওর) ডিভিশন-২ র নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, রিমালের প্রভাবে ঢেউয়ের সাথে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেতুয়া প্রশান্তি পার্ক এলাকায় বাঁধ রক্ষায় জরুরী রক্ষণাবেক্ষণে জিও ব্যাগ ও ডাম্পিং কাজ চলমান। রেমালের প্রভাবে তীব্র ঢেউয়ের কারণে বাধ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। রাত ১০/১১টার দিকে জোয়ারে বেতুয়া বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এই বাধে সন্ধ্যার পর থেকে ৫ শতাধিক ব্লক ফেলানোর কাজ শুরু হয়েছে। উপ-সহকারি প্রকৌশলী আল আমিন জরুরি কাজের তদারকি করছে।