পবিত্র রমজানে সবজির বাজার স্থিতিশীল। প্রতি বছর এই সময়ে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যগুলোর চাহিদা হু হু করে বেড়ে যায়। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে দামও। কিন্তু এ বছর রমজান ঘিরে সবজির বাজারে দামের প্রভাব পড়েনি।
বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। এতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে চরফ্যাশন কাঁচাবাজার, পাইকারি মুদি দোকান ও খুচরা দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, রমজানকে ঘিরে উপচে পড়া ভিড় ক্রেতাদের। স্বাচ্ছন্দ্যে যে যার পছন্দমত পণ্য কিনছেন।
ক্রেতারা বলছেন, লবন, চিনি, আদা, রসুন, পাঁচফোড়ন, সাবানসহ প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে এসেছেন। রমজান উপলক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, শসা, গাজর, টমেটো, বেগুন ইত্যাদির দাম অনেকটা সহনশীল পর্যায়ে এসেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পণ্যের বেশি চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। ফলে পণ্যের সংকট না থাকায় দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। প্রতি কেজি শসা ২৫ টাকা, করলা প্রতিকেজি ৮০ টাকা, রেখা প্রতিকেজি ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতিকেজি ৩০ টাকা , সাদা বেগুন প্রতিকেজি ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে প্রতিকেজি ৫০ টাকা , কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৫০-৬০ টাকা, টমেটো প্রতিকেজি ১৫-২০ টাকা প্রতি হালি লেবু ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতিকেজি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ২০ টাকা, প্রতি কেজি ধনেপাতা ৪০ টাকা, বরবটি ৪০, চিচিঙ্গা প্রতিকেজি ৫০ টাকা, বিচিওয়ালা সিম ৩০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ টাকা ও প্রতি পিস ডিম ১০ টাকা দরে বিক্রি হয় বলে জানান।
বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।