চরফ্যাসনে চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে দেখা যাচ্ছে সোনালি পাঁকা আমন ধান। এবছর মৌসুমের শুরুতে বৈরী আবহাওয়া ও টানা বৃষ্টির কারণে আমনের চারা পানির নিচে তলিয়ে পঁচে যায়। ফলে কৃষকদের পুনরায় জমি তৈরী ও চারা রোপন করতে হয়। যে কারণে এ বছর চরফ্যাসন উপজেলায় দেরিতে আমনের আবাদ হয়েছে। এতে কৃষকের খরচও বেশি পরেছে। তবে ফলন ভাল হওয়ায় খুশি কৃষকেরা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু করবেন কৃষকরা। ধান কাটা, মাড়াই ও গোলায় তোলার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন এখানকার কৃষক-কৃষাণীরা। ঘরে ঘরে শুরু হবে ঐতিহ্যের নবান্ন উৎসব। ইতোমধ্যে কিছু কিছু এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে।
মাদ্রাজ ৫নং ওয়ার্ডের কৃষক লিটন, হারুন ও সহিজল বলেন, এবছর কয়েক দফা আমনের চারা রোপন করতে হয়েছে। যার ফলে এ মৌসুমে আমন আবাদে ব্যয় বেশি হয়েছে। পোকার আক্রমণ ঠেকাতে সময়মতো কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। তাই ফলনও আশানুরূপ হয়েছে। আশা করি প্রতি বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ১৬ মন ধান পাওয়া যাবে। ভাল দাম পেলে খরচ পুষিয়ে কৃষকের লাভ হবে।
চরফ্যাসন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে বৃষ্টির কারণে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় উৎপাদন ভাল হয়েছে। কৃষকদের উচ্চফলনশীল উফশী জাতের ধানের আবাদের জন্য কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি এ বছর আমন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাবে।