পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমানভাবে কৃষি কাজের সাথে জড়িত। তবে যে পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ভাগাভাগি করে কাজ করে, সে পরিবারে উন্নতি হয় দ্রুত।

এমনই এক পরিবার রয়েছে হালিমাবাদ এলাকায়। দুই মাস আগে এক কানি জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। এখন কিছু গাছে ধানের ছরাও চলে এসেছে। বাড়ির পাশেই ফসলের জমি হওয়ায় কৃষাণী শিরিনা নিজেই দেখাশুনা করেন বলে জানান। তার স্বামী বর্তমানে নদীতে মাছ আহরণের কাজ করছেন। ধান সম্পূর্ণ পেকে গেলে স্ত্রী শিরিনা ফোন করে জানালে, স্বামী চলে আসবে বাড়িতে। তারপর দুজন মিলেই করবে ধান কাটা ও সংগ্রহের কাজ। এভাবেই মিলেমিশে গত ১৫ বছর যাবৎ চাষাবাদ করছেন তারা। সংসারের কাজ ও চাষাবাদে সাহায্য করা ছাড়াও কৃষাণী শিরিনা গরু ও হাঁস-মুরগি পালন করেন। এতেই চলে তিন সন্তানসহ পাঁচ সদস্যের সংসারের যাবতীয় খরচ। আগামী বছর নিজেদের থাকার ঘরটা ভালোভাবে করার পরিকল্পনাও আছে তাদের। সব মিলিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনের প্রচেষ্টায় ভালোই আছেন তারা জানান শিরিনা।

কৃষিভিত্তিক রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান “কৃষি ও কৃষক” শুনুন প্রতি বুধবার ৫:৪০ মিনিটে শুধুমাত্র রেডিও মেঘনা ৯৯.০ এফএমে।