চরফ্যাসন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রাঢ়ীর বাড়ির সৈদি প্রবাসী আবদুল মতিনের ঘরোয়া খামারে দেশি পাতিহাঁসের কালো ডিম পাড়া নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় হাঁসও ডিম দেখতে ভিড় করছে দূর দুরান্তের লোকজন।
সরেজমিনে গিয়ে হাঁসটির মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই তার স্ত্রী নিজ বাড়িতে হাঁস-মুরগি লালন-পালন করছেন। তিনি শখ করে ফেরিওয়ালার থেকে ১৭টি দেশি পাতিহাঁসের বাঁচ্চা ক্রয় করেন, এর মধ্যে ১১টি হাঁস জীবিত রয়েছে। গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রথম ডিম দেয়। ডিমটি অস্বাভাবিক কালো দেখে তিনি ভয় পেয়ে আশপাশের লোকজনকে দেখান। কালো ডিম দেখে সবার মধ্যে এক ধরনের কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একই অবস্থা পরদিন বৃহস্পতিবারও ঘটে।
তিনি আরো বলেন, হাসেঁর কালো ডিম সর্ম্পকে জেলা প্রানীসম্পদ দপ্তরে জানালে তারা বলেছেন হাঁসটি যদি ধারাবাহিক ভাবে একই রকমের ডিম দেয় সেই বিষয়টি তাদেরকে জানানোর কথা বলেন। হাসেঁর ডিম নিয়ে এত লোকজন আসা যাওয়া ও ভিডিও ধারণে বর্তমানে হাঁসটিই দূর্বল হয়ে পরেছে প্রায় খাওয়া দাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে হাসেঁর ডিম দেখতে আসা সাধারন মানুষ বলেন, দেশি হাঁস কালো ডিম দিয়েছে এটা আসলেই আশ্চর্যের বিষয়। তাই সেই ডিমগুলো নিজের চোখে দেখার জন্য ছুটে এসেছি। এ রকম ঘটনা আগে কখনো শুনেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ জানান, চরফ্যাসনে এই প্রথম একটি দেশি প্রজাতির হাঁস কালো ডিম দিয়েছে। জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তার নির্দেশে হাসঁটিকে সাতদিন পর্যাবেক্ষণ করে ডিমটিকে পরিক্ষা নিরীক্ষা করতে গবেষণাগারে পাঠানো হবে।
সুরভী ও মৌসুমী মনিষা।
রেডিও মেঘনা- চরফ্যাসন।