আমাদের অতি পরিচিত একটি প্রভাদ বাক্য ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। বাঙালির বাঁচার জন্য প্রয়োজন ভাত আর পুষ্টির জন্য মাছ। অতীতে এই মাছ সহজেই পুকুর, খাল-বিল ও নদী নালায় পেলেও এখন এসব স্থানে এই মাছরে সংখ্যা কমতে শুরু করছে। তাতেও থেমে নেই বাঙালি। প্রাকৃতিক উপায়ে মাছ কম থাকলেও চাষকৃত মাছের সংখ্যা যেনো দিন দিন বেড়েই চলছে।
এমনই একজন মাছ চাষি আমিনাবাদ ৩নং ওয়ার্ডের ওহিদুল হক। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে চাষ করছেন বিভিন্ন দেশীয় মাছ। এবছর প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে মোট তিন একর জমির তিনটি খামারে চাষ করেছেন পাঙ্গাস, রুই, তেলাপিয়া ও মৃগেল মাছ। বছর শেষে প্রায় ২৫-৩০ লক্ষ্য টাকার মাছ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করেন।
এদিকে দেশিয় মাছ চাষের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন চরফ্যাসন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার জনাব মারুফ হোসেন মিনার। মাছ চাষের জন্য যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভালো এমন যায়গায় পুকুর নির্বাচন করতে হবে। পুকুরের পারে কোনো বড় গাছ রাখা যাবে না। বিশেষ করে চামবুল, মেহগনি গাছ ইত্যাদি গাছ। কারন মেহগনি গাছের ফল অতান্ত্য বিশাক্ত, যা পানিকে বিশাক্ত ও লবনাক্ত করে ফেলে । এক্ষেত্রে ফলগাছ রাখা যেতে পারে তবে সর্বদা গাছের ঢালপালা কেটে রাখতে হবে।
রেডিও মেঘনার সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘জেলে জীবন ও প্রাকৃতিক দ‚র্যোগ’। অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয় ৯৯.০ এফএমএ বৃহস্পতিবার বিকেল ০৫:০০ টায়।
Recent Comments