কয়েক বছর আগেও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলোতে মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের খেলনার পসরা বসতো। বিশেষ করে ঈদ কিংবা বৈশাখী মেলায় মাটির তৈরি নানা রঙয়ের কারুকার্য করা হাঁড়ি-পাতিল, পুতুল, নৌকা, পালকি, হাতি, ঘোড়া, টিয়াপাখিসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট খেলনা বিক্রি হতো। বর্তমানে প্লাস্টিক পণ্যের দাপটে হারিয়ে গেছে সেই ঐতিহ্য। টিকতে না পেরে অনেকে পেশা বদল করেছেন। তবে কষ্ট করেও বাপ-দাদার পেশা ধরে রাখার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।
জিন্নাগড় এলাকার মৃৎশিল্পী বাস্কর চন্দ্র জানান, বৈশাখি উৎসবে বিভিন্ন এলাকায় আয়োজিত মেলায় আগতরা সখের বসে মাটির তৈরি পুতুল, ঘোড়া, হাতি ও পালকিসহ কারুকার্যকৃত মাটির তৈরী ইত্যাদি খেলনা কিনে থাকে। গত তিন বছর করোনাকালে মেলার আয়োজন বন্ধ থাকায় মৃৎশিল্পীরা কার্যত বেকার জীবন কাটিয়েছে এবছরই প্রথম বৈশাখির মেলার আয়োজন করায় তাই আগে থেকে মাটির তৈরী খেলনা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এবং বেশ ভালো লাভবান হওয়ার আশা প্রকাশ করেন।
প্রেমিকা রানী বলেন, বিয়ের পর শাশুড়ির কাছ থেকেই মাটির খেলনা তৈরী শিখেছেন। এখনো সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে বছরে একবার বৈশাখী উৎসবের সময় তৈরী করেন বিভিন্ন খেলানা। তবে মাটির খেলনার চাহিদা কম থাকায় আয় তেমন হয়না। তারপরেও ভালো লাগা থেকেই তৈরী করছেন মাটির ঘোরা হাতি পালকি,ঘরসহ বিভিন্ন খেলানা।
Recent Comments