ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় সূর্যমূখী চাষে ঝুঁকছেন চরফ্যাসনের কৃষকরা। লাভজনক এবং লবণসহিষ্ণু হওয়ায় অনেকেই এবার বাড়িয়েছেন সূর্যমূখীর আবাদ। সূর্যমুখি চাষে কৃষকদের প্রয়োজনে পরামর্শ দিচ্ছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
সূর্যমূখী আর কৃষকের হাসি দুই মিলে একাকার। ভোলার চরফ্যাসন পৌরসভা, জিন্নাগড়, আমিনাবাদ বেশ কিছু এলাকায়সহ পুরো চরফ্যাসনে চলতি বছর ১’শত ৯৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখী চাষ হয়েছে।
এই ফসল চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম এবং লাভ বেশি। সেই সাথে সূর্যমুখীর তেল স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় এবার কৃষকরা গতবারের তুলনায় সূর্যমুখীর আবাদ বাড়িয়েছে এবং আগামীতে আরো বেশি পরিমাণে সূর্যমুখী চাষ করার আশা প্রকাশ করেন।
এছাড়া সূর্যমুখীর উৎপাদিত বীজ থেকে তেল ছাড়াও পাওয়া যাবে খৈল যা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং অবশিষ্ট গাছও ব্যবহার করা হয়  জ্বালানির কাজে।
রাস্তার পাশে দৃষ্টিনন্দন সূর্যমুখীর ফুল নজর কেড়েছে এলাকাসীসহ পথচারীদের। তারাও আগ্রহী হচ্ছেন সূর্যমুখী চাষে।
সূর্যমূখীর তেল স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় দিন দিন এই তেলের চাহিদাও বাড়ছে। লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা আগামীতে সূর্যমূখীর আবাদ বাড়বে বলে মনে করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান।
লবণসহিষ্ণু সূর্যমূখী এখন চরফ্যাসনের কৃষদের একমাত্র তেল ফসল।