১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয় শিশু জাকিয়ার, তার কোল জুড়ে আছে চার মাসের আরেক ফুটফুটে শিশু। এই বয়সে এক সন্তানের মা জাকিয়া। সন্তানের লালন- পালনের পাশাপাশি সামলাচ্ছেন সংসারও।
শিশু সুরক্ষার কথা ওরা জানে না, অধিকারের বার্তা ওদের কাছে অর্থহীন। খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকাই জীবনের বড় পাওয়া। বলছিলাম চরফ্যাসন উপজেলার পূর্ব মাদ্রাজ এলাকার কিশোরীর কথা। দুর্যোগ ঝুঁকি তাদের নিত্যসঙ্গী, শৈশব থেকেই কর্মজীবনের সূচনা হয় যাদের। উপকূলীয় প্রান্তিক শিশুদের দুর্দশার এমন চিত্র চোখে পড়ে।
অষ্টম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায় বিয়ের সমন্ধ আনেন পরিবার। বাবা মা তার সুখ-শান্তির জন্য বিয়ে দিচ্ছেন একথা মেনে নিয়ে নিজের স্বপ্ন বির্সজন দিয়ে রাজি হন বিয়েতে। বিয়েরর পরপর সন্তান সম্ভাবা হওয়ায় স্কুলে আর যাওয়া হলোনা জাকিয়ার। ঘরে বসেই দেখতেন বান্ধবীদের স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য। তার সাথে গল্পের এক ফাঁকে জানা হলো মা মারা গিয়েছিল ছোট বেলায় তার বাবা আবারও বিয়ে করেন। তিন বোন এক ভাই নিয়ে পরিবার সবার বড় জাকিয়া। মা না থাকা পরিবারে নিজের ইচ্ছে প্রকাশ করার সাহস কখনোই ছিলনা তার। তবে পরে হলেও বুঝতে পারেন নিজের ভুল।
একজন মায়েরও পড়াশুনা জানা দরকার সন্তানের ভালো ভবিষ্যৎ এর জন্য এখন তিনি বুঝতে পেরেছেন। এবং ছোট বোনদের অল্প বয়সে বিয়ে দিবেন না বলেও জানান তিনি।

স্ক্রীপ্ট তৈরী ও তথ্য সংগ্রহে উম্মে নিশি ।
সার্বিক সহযোগিতায় তাসপিয়া।