আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অসচেতনভাবে ক্রমশে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে আসক্তি বাড়ছে শিশু ও কিশোর- কিশোরীদের। শহরের সাথে পাল্লা দিয়ে এখন গ্রমাঞ্চলেও র্স্মাট ফোনে আসক্তির হার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুদের আচরণে দেখা দিচ্ছে নানা নেতিবচক পরিবর্তন। শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিকভাবেও হয়ে পড়ছে অসুস্থ। করোনার মহামারির সময় স্কুল-কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাসের কারণে বাধ্য হয়েই শিশুর হাতে তুলে দিচ্ছেন স্মার্টফোন। দিনের অনেকটা সময় হাতে স্মার্টফোন থাকায় এক ধরনের আসক্তিতে রূপ নিয়েছে এটি।

মূলত শিশুদের ঘরে রাখতেই অভিভাবকরা বাচ্চাদের গেমস ও কার্টুন দেখে সময় কাটানোর জন্য স্মার্টফোন ধরিয়ে দিচ্ছেন। ফোন ব্যবহারে ক্ষতি দিক যেনেও সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য ফোনই একমাত্র মাধ্যম বলে বেছে নিয়েছেন অনেক অভিভাবকরা।
চরফ্যাসন টি.ব্যারেট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: তানভির আহমেদ বলেন, বর্তমানে বেশির ভাগ শিশুরাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখা যায়। এর ফলে শিশু মেধা শূণ্য হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে করোনা কালীন সময়ে অনলঅইন ক্লাস চালু হওয়া থেকে এর হার বাড়তে দেখা গেছে।
প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, এক্ষেত্রে অভিভাকদের উচিত দিনের কম পক্ষে দুই ঘন্টার বেশি মোবাইল ব্যবহার করতে না দেওয়া। তারা সচেতন হলেই এর হার কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

এবিষয়ে চরফ্যাসন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মাহাবুব কবির বলেন, মোবাইলের প্রতি আসক্তি শিশু কিশোরদের সামাজিক দক্ষতা নষ্টসহ নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রাখার ফলে চোখের সমস্যাও তৈরি হচ্ছে। শিশুদের পারিবারিক ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে।
সুতরাং অভিভাবকরা শিশুদের মোবাইল ফোনে আসক্ত হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক না থাকে তাহলে আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ না হয়ে আগামী দিনের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। এ জন্য শিশুদের মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখতে হবে। কোনোভাবেই শিশুদের মোবাইল ফোনে আসক্ত হতে দেওয়া যাবে না। তাদের নিকট মোবাইল ফোন ব্যবহার সীমিত করতে হবে। প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের পর্যাপ্ত খেলাধুলার সুযোগ করে দিতে হবে।